যশোরে প্রাণ নিচ্ছে বিষাক্ত মদ

ছবি- সংগৃহীত।

রেকটিফাইড স্পিরিটে তৈরি বিষাক্ত মদ যশোরে একের পর এক প্রাণ নিচ্ছে। গত তিন বছরে বিষাক্ত এ মদপানে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ তিনজন মারা গেছেন। মদপানে মৃত্যু ও অসুস্থের খবর প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এরপর কিছুদিন তোড়জোড় থাকলেও পরে আবার তা থিতিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে রেকটিফাইড স্পিরিটে তৈরি ‘বিষাক্ত মদ’ পানে মৃত্যু হয় তিনজনের। এরা হলেন যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম (৪৫) ও শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৯) এবং আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম (৫৫)।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে যশোর সদরের আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি বাগানে একই গ্রামের ইসলাম, আবুল কাশেম ও জাকির হোসেন এবং সিতারামপুর গ্রামের বাবলু হোসেন ও রিপন হোসেনসহ আরও দুজন বিষাক্ত মদ পান করেন। তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে গ্রাম্যচিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। অবস্থায় অবনতি হলে ইসলামকে পরদিন ভোরে (২৬ জানুয়ারি) তথ্য গোপন করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরের দিকে তিনি মারা যায়। পরিবারের সদস্যরা দ্রæত ছাড়পত্র ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান।

অন্য চারজনও অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে তারা একে একে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে ১টার দিকে মারা যান। এরপরই নেশাজাতীয় দ্রব্য পানের বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনা জানাজানি হলে বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে সরে পড়েন। বর্তমানে তারা খুলনায় চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। আর শুক্রবার রাতে মারা যান আবুল কাশেম।

আরো পড়ুন:
>উন্নত বাংলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা
>যশোরে ইজিবাইক চোর গ্রেফতার

এরআগে ২০২০ সালের ১৭ জুন যশোরের ঝিকরগাছায় নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে রাজাপুর গ্রামের হাবিল গাজী ও নুর ইসলাম খোকা, বর্নি গ্রামের ফারুক হোসেন, হাজিরালী গ্রামের আসমত আলী, পুরন্দরপুর গ্রামের হামিদুর রহমান এবং ঋষিপাড়ার নারায়ণের মৃত্যু হয়।

একই বছরের ২৫ ও ২৬ এপ্রিল নেশাজাতীয় দ্রব্য পানে মৃত্যু হয় ১০ জনের। যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি কালীতলা এলাকার শাহিন, যশোর শহরের বেজপাড়ার নান্নু, শহরতলির ঝুমঝুমপুর মান্দারতলার ফজলুর রহমান, শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মনিবাবু, ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের সাবু, যশোর শহরের বারান্দি মোল্যাপাড়ার বাসিন্দা মদের দোকানের কর্মচারী আব্দুর রশিদ, চুড়ামনকাটির ছাতিয়ানতলার আক্তারুজ্জামান, ঝিকরগাছার কাটাখালী গ্রামের সাহেব আলী, মণিরামপুরের মোহনপুর গ্রামের মোমিন ও মোহনপুরের মুক্তার আলী মারা যান।

জানুয়ারি ২৯.২০২৩ at ২১:১৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর