পাইকগাছায় বোরো আবাদে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

পাইকগাছায় শীত ও কুয়াশার মধ্যে কৃষকরা পুরাদমে বোরোর আবাদ করছে। তবে মাঝখানে শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে বোরোর বীজতলা ও রোপনকৃত চারা টিকিয়ে রাখতে কৃষকদের হিমশীম খেতে হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৫হাজার ৬২৫হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৭২৫ হেক্টর জমিতে বোরোর চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ জমিতে বোরো রোপন সম্পন্ন হবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে। বোরো আবাদের জন্য ৩১০ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরী হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৯৫ হেক্টর উফশি ২১৫ হেক্টর।

জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে উপকূল অঞ্চলের কৃষি কাজ অন্য এলাকা থেকে এক থেকে দেড়মাস পরে শুরু হয়। এর ফলে অন্য এলাকার সাথে উপকূলীয় এলাকার চাষাবাদ ব্যবধান তৈরী হচ্ছে। সব মৌসুমেই চাষাবাদ দেরিতে শুরু হচ্ছে। এখনো আমন ধান কর্তন চলছে। ধান কাটার পর এসব ক্ষেত বোরো আবাদের জন্য প্রস্তুত করা হবে। তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ার সাথে মোকাবেলা করে ফসল লাগাতে হয়।

উপজেলার পুরাইকাটী ব্লাকের কৃষক ফারুক হোসেন বালেন, মাঝখানের তীব্র শীত ও কুয়াশায় ধানের চারা কিছুটা লাল হয়েছিলো।পলিথিন দিয়ে ঢেকে,পানি বদলসহ নানারকম পরিচর্যা করে বীজতলা ও রোপনকৃত চারা টিকিয়ে রাখা হয়েছে।তবে শ্রমিকের উচ্চ মূল্যের পরও চাহিদামত বোরো আবাদ করার জন্য শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।এতে করে বোরো আবাদ সম্পন্ন করতে সময় বেশি লাগছে।

আরো পড়ুন:
>সরিষার বাম্পার ফলন ভাঙ্গুড়ায়
>মোবাইলে কল দিলেই শোনা যাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো :জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাঝখানে তীব্র শীত ও কুয়াশা পড়লেও বীজতলা কোন ক্ষতি হয়নি। তাছাড়া প্রতিদিন পানি বদল করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি অফিস থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।এখন আবহাওয়া বোরো আবাদের জন্য পুরাপুরি অনুকুলে রয়েছে।

জানুয়ারি ২৯.২০২৩ at ১৬:১৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর