উত্তরা বিজিবি মার্কেট এখন আর ডালভাত কর্মসূচিতে নেই

রাজধানীর উত্তরা বিজিবি মার্কেট এখন আর ডাল-ভাতের কর্মসূচিতে নেই। এ বাজারটি এখন ধনীদের বাজার বললেই চলে।

২০০৫-২০০৬ সালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পুত্র দিপু চৌধুরী কর্তৃক দখলকৃত ভূমি উদ্ধার করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ২০০৭ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা এলাকার রাজউকের ২০,২১ ও ২২নং প্লটটি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ডাল-ভাত কর্মসূচীর মাধ্যমে ৫০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে কাঁচা বাজার গড়ার অনুমতি দেয়া হয়।

এক বছর পর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা উত্তরা ৬নং সেক্টর কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির নামে শ্রম অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেয়। গত ৬ জানুয়ারী একটি জাতীয় দৈনিকে রাজউক ওই তিনটি প্লটের নিলামপত্র প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

আরো পড়ুণ
> যশোর বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা বাজারে হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা
> পত্নীতলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

উত্তরা ৬নং সেক্টর কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন বর্তমানে এই বাজারের ৫০০টির বেশি দোকান রয়েছে। নিলামের মাধ্যমে প্লটগুলো কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয় তবে ব্যবসায়ীরা ক্ষতি গ্রস্থ হবেন। আগামী দশ বছরের সহজ কিস্তিতে তিনটি প্লট আমাদের প্রদান করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় প্রকৃতপক্ষে এই মার্কেটটি যে উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রতি উত্তরে তিনি বলেন কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা আমি বলতে পারব না তবে কর্মসংস্থান হীন ৫০০ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এই মার্কেটের মাধ্যমে। উত্তরা ৬নং সেক্টর কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলেন মার্কেটটি বন্ধ হয়ে গেলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। অপরদিকে রাজউক বলছেন যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই মার্কেটটি তৈরি করা হয়েছিল তার কোনো কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি আসলে যাদের অধিকার রক্ষা করার জন্য সরকার এই মার্কেট তৈরি করেছিলেন তারাই বর্তমানে ওই বাজারে ঢুকতে ভয় পান। গরিব-দুঃখী ও সাধারন মানুষদের ন্যায্যমূল্যের মাধ্যমে চালডাল বিক্রয় করাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সারি সারি গাড়ি ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যায় কত বড় মাছ কিনবেন সবকিছুই যেন এই বাজারে হাতের নাগালে পাওয়া যায়। কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই বাজার আর সুবিধা ভোগ করছেন কারা। এই মার্কেটকে কেন্দ্র করেই কমিটি নামক শব্দ দিয়ে কিছু লোক কোটিপতি হয়েছে।

উত্তরা ৬নং সেক্টর কাঁচা বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাওন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ, কোষাধক্ষ রাজন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক জহির হোসেন বিপু সহ অনেকেরই রয়েছে একাধিক দোকানপাট ও বিভিন্নভাবে আয়ের উৎস। নিষ্পেষণের শিকার হচ্ছেন সাধারণ দোকানদাররা।

জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ at ১৬:৫৬:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/এমএইচ