রমজান আসন্ন: চ্যালেঞ্জের মুখে ভোগ্যপণ্যের বাজার

ছবি- সংগৃহীত।

মাস দুয়েক পরেই রমজান। বাংলাদেশের বাজার সংস্কৃতিতে রমজানে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া এক রকমের অঘোষিত রেওয়াজ। তবে এবার রমজানের আগেই ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, গত রমজানের তুলনায় এবার পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেশি বাড়বে। সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের এক বৈঠকে ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মাহমুদুল হাসান জানান, দেশীয় বাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার কারণে আগামী রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম গত রমজানের তুলনায় ৩০ শতাংশ বাড়বে।

বিশেষ করে রমজানের সময় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গোষ্ঠীর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারসাজি বন্ধে কাজ করবে সমন্বয় কমিটি। শুধু তাই নয়, রমজানের সময় সরকারি বাজার নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থা টিসিবি’র কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার পরামর্শ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ওই সময় ফ্যামিলি কার্ডের বাইরে ট্রাক সেলে চিনি এবং ছোলার মতো পণ্য বিক্রি করা হতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশের এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর টিসিবি থেকে ভোজ্যতলে, চিনি, ডাল এবং পেঁয়াজের মতো পণ্য কিনতে পারবেন। এ কারণে টিসিবির অধীনে খাদ্যপণ্য কিনতে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে। অর্থাৎ রমজানের সময় বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সব ধরনের উদ্যোগ রয়েছে সরকারের।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানান, আগামী রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বৈশ্বিক সংকট ও ডলারের দর বৃদ্ধির এই সময়ে পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এরপরও রোজায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় এমন সব খাদ্যপণ্য আমদানিতে ডলারের জোগান দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ব্যাংকগুলো যাতে দ্রুত এলসি খোলেন সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া চিনি এবং ভোজ্যতেলের মতো পণ্যের দাম কমাতে আরও শুল্ক ও ভ্যাট কমাানোর জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়। তিনি আরও বলেন, রমজানে গ্রাহকরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হোন সেজন্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানির জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আশা করছি, রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকবে। এ ব্যাপারে সরকারের প্রস্তুতি যথেষ্ট ভালো। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক এম মুজাহিদুল ইসলাম সময় সংবাদকে বলেন, ‘এলসি খোলায় বৈষ্যমের সবচেয়ে বড় কারণ ব্যাংক চালায় বড় ব্যবসায়ীরা।

আরো পড়ুন:
>যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
>অভয়নগরে বাহারি পিঠার সমারোহে প্রতিবেশী উৎসব অনুষ্ঠিত

তারা নিজেদের সুবিধা দিয়ে বাকিদের বঞ্চিত করে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরিং ব্যবস্থাও বেশ দুর্বল। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের হাতে যদি ব্যাংক থাকে তাহলে সেটা তো সাধারণ মানুষের ব্যাংক হলো না। এছাড়া বড় ব্যবসায়ীদের এলসি খুলে দেয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের বাড়তি সুবিধা দিলে ব্যাংক কর্মকর্তারা অনৈতিক অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। অনেক অসৎ কর্মকর্তা এসব সুবিধার লোভে বড় ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দেন।’পেঁয়াজ মশুর ডাল ও গম আমদানিতে শুল্ক নেই ॥ পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও গম আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই।

মূলত ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে এনবিআর থেকে তিনপণ্য আমদানিতে সব ধরনের কর ও ভ্যাট ছাড় দিয়েছে। তবে খেজুর আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম করা (এ্যাডভান্স ট্যাক্স-এটি) এবং ৫ শতাংশ (অ্যাডভান্স ইনকাম ট্যাক্স-এআইটি) রয়েছে। অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পামতেল আমদানিতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত আছে। আন্তর্জাতিক বাজারদর বিবেচনায় বর্তমানে আরোপিত ভ্যাট ১০ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। চিনি আমদানিতে শুল্কহার বিদ্যমান রয়েছে।

প্রতিটন অপরিশোতি চিনিতে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয় আমদানিকারকদের। তবে রমজানে দাম কমাতে ভোজ্যতেল ও চিনিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাবের বিষয়টিতে সাড়া দিতে পারে এনবিআর। পরিশোধিত সয়াবিন গত বছর ৯ হাজার ৮৫৮ টন এবং এ বছর ১৭ হাজার টন। বেশি হয়েছে ৭ হাজার ১৪১ টন। সয়াবিন বীজ গত বছর ৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ টন এবং এ বছর আমদানি হয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৭০ টন। বেশি হয়েছে ৭২ হাজার ৬৯৩ টন। অপরিশোধিত পামওয়েল গত বছর আমদানি ১ লাখ ২৪ হাজার ৫১২ টন এবং এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার ৮৪ টন। ঘাটতি ৪ হাজার ৪২৭ টন।

আরো পড়ুন:
>যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
>অভয়নগরে বাহারি পিঠার সমারোহে প্রতিবেশী উৎসব অনুষ্ঠিত

পরিশোধিত পামওয়েল গত বছর ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬৭ টন এবং এ বছর আমদানি হয় ৬ লাখ ৮ হাজার ১৪৬ টন। বেশি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৯ টন। মসুর ডাল গত বছর ১ লাথ ৬৯ হাজার ২২০ টন এবং এ বছর ২ লাখ ১৮ হাজার ২২ টন। বেশি আমদানি হয়েছে ৪৮ হাজার ৮০২ টন। এছাড়া পেঁয়াজ গত বছর আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ১২৫ টন এবং এবছর আমদানি ৩ লাখ ১৯ হাজার ১০৩ টন।

ঘাটতি ২১ হাজার ২২ টন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি যত পদক্ষেপ বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবেলায় আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে বিলাস দ্রব্য ও অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩০টি পণ্যের উচ্চহারে শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চিনি আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার পরিবর্তন করে স্পেসিফিক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত সমজাতীয় অন্যান্য ভোজ্যতেল যথা-সানফ্লাওয়ার ও ক্যানোলা তেল আমদানিতে উচ্চহারে শুল্কারোপিত আছে যা সয়াবিন ও পামের ন্যায় আরোপ করা হলে সরকারের রাজস্ব কমবে না অন্যদিকে আমদানির উৎস্যে বৈচিত্র আসবে বলে মনে করে।

এছাড়া রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের দাম ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে ১৫ মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট দফতর, অধিদপ্তর এবং বেসরকারি খাত একযোগে কাজ করবে। এলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য, বিদ্যুৎ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, শিল্প, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম, রেলপথ, নৌ-পরিবহন ও বিমান পরিবহন ও পর্যটন, কৃষি, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং এফবিসিসিআইয়ের উদ্যোগে একটি সমন্বিত কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন:
>যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
>অভয়নগরে বাহারি পিঠার সমারোহে প্রতিবেশী উৎসব অনুষ্ঠিত

এর মূল্য লক্ষ্য রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং করা হবে। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ থাকবে। আট পণ্যের আমদানি সহজ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ॥ রমজান সামনে রেখে পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে চিনি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজসহ আবশ্যকীয় আটটি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে ন্যূনতম নগদ মার্জিন রাখার নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এক্ষেত্রে এ হার কত হবে তা ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারণের জন্য বলা হয়েছে। আবশ্যকীয় খাদ্যপণ্যের যে তালিকা কেন্দ্রীয় ব্যাংক দিয়েছে, সেখানে ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুর রয়েছে। এসব পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিনে এলসি খোলার সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে সম্প্রতিএকটি সার্কুলার লেটার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়া ভোগ্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য সম্প্রতি আমদানিতে সহযোগিতা দিতে ব্যাংকগুলোকে আরেকটি সার্কুলার দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রিজার্ভ থেকে ডলার চায় এফবিসিসিআই। রমজানে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বিশেষ করে রোজার জন্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খুলতে রিজার্ভ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ডলার সহায়তা চাওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে সম্প্রতিএফবিসিসিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন। সেখানে এসব দাবি জানানো হয়। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, রোজায় নিত্যপণ্য ছাড়াও অনেক পণ্য প্রয়োজন হয়। এজন্য আমদানিটা সহজ করার জন্য বলেছি। প্রয়োজনে এলসি খুলতে রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আশ্বস্ত করেছে।

আরো পড়ুন:
>যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
>অভয়নগরে বাহারি পিঠার সমারোহে প্রতিবেশী উৎসব অনুষ্ঠিত

গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণের তাগিদ। গরুর মাংসের মূল্য নির্ধারণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। মাংস ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো মাংসের দাম বাড়িয়ে থাকেন। এ বছর মূল্য নির্ধারণে ব্যর্থ হলে গরু ও খাসির মাংসের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এ কারণে গরু ও খাসির মাংসের দাম নির্ধারণ হওয়া উচিত। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০-৭২০ এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজানের সময় গরুর মাংসের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দ্রুত নতুন দাম নির্ধারণের করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। মাংস কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস ভোক্তাদের। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে যে দামে বাজারে মাংস বিক্রি হচ্ছে তা কোনোভাবেই স্বাভাবিক নয়। এ প্রসঙ্গে কনজ্যুমারস এ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ- ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ভোক্তা হলো দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক গোষ্ঠী।

কিন্তু ভোক্তার স্বার্থ সার্বিকভাবে দেখা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন করার জন্য একক কোনো মন্ত্রণালয় নেই। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যেও সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভোক্তা স্বার্থে সরকারি- বেসরকারিখাত সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করতে হবে।

রোজায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। এদিকে, রোজায় চাহিদা বাড়ায় এমন ছয় পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি এবং ন্যায্যমূল্যে বিক্রির বিশেষ উদ্যোগ রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে সারা বছর ভোজ্যতেলের চাহিদা ২১ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়।

আরো পড়ুন:
>যবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
>অভয়নগরে বাহারি পিঠার সমারোহে প্রতিবেশী উৎসব অনুষ্ঠিত

কেবল রোজার মাসে ভোজ্যতেলের চাহিদা থাকে ৪ লাখ টনের মত। সারাবছরের জন্য প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন চিনি, এর মধ্যে ৩ লাখ টনের চাহিদা থাকে কেবল রোজার সময়। সারা বছর যেখানে ৫ লাখ টন মসুর ডাল লাগে, সেখানে রোজায় চাহিদা থাকে ৮০ হাজার টনের মত। ডালের চাহিদা মেটাতে ৫০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। বছরে ৮০ হাজার টন ছোলার প্রয়োজন হয় দেশে, যার ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় রোজার মাসে। এ সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পেঁয়াজের। ২৫ লাখ টন বার্ষিক চাহিদার ৫ লাখ টনই ব্যয় হয় রোজার সময়।

জানুয়ারি ২৫.২০২৩ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএইচ