সিলেট জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডাজতি রোগ হাসপাতালে ভিড়

সিলেট বিভাগ জুড়ে বেড়েছে ঠান্ডজিত রোগ, প্রতিদিন সরকারি ও বেসরকারি হাপতালে রোগীদের ভিড় করে দেখা যাচ্ছে । তবে বেশিরে ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সিলেট বিভাগের মধ্যে বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে মৌলভীবাজারে। প্রতি বছরই দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় নাজেহাল মানুষজন। দেখা দিয়েছে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রার্দূভাব।

ঘন কুয়াশা আর শীতের প্রচণ্ড তীব্রতার কাছে সবাই যেন পরাস্ত। সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে সূর্য। দুপুরের দিকে কিছুটা দেখা গেলেও হিমেল বাতাসের কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছে সূর্যের তাপমাত্রা।
শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে প্রতিটি জেলার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায়, সেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর জন্য বেড রয়েছে ৫৬ টি। সেখানে বৃধবার সকালে ৭৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে বিকেল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান।

২২ জানুয়ারি হাসপাতালে রোগী ছিল ৬৯ জন এবং ২১ জানুয়ারি ৬৪ জন রোগী ছিল। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান, সেখানকার কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সিগ্ধা দে। তিনি বলেন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তারপরও সবাইকে বেড দিতে পারছি না।

আরো পড়ুন:
>গাজীপুরের প্যারাডাইজ স্পোটিং ক্লাব এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ
>বদলগাছীতে ২টি প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

একই চিত্র দেখা যায় সিলেটের ওসমানী হাসপাতাল, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সকল জেলায় এখন পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ জন। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। তিনি আরও জানান, ঠান্ডায় ডায়রিয়াজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটি খুব একটা নয়। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম বলে জানান তিনি।

জানুয়ারি ২৫.২০২৩ at ১৪:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএইচ