ক্যান্সার ঠেকায় যে খাবারগুলো

ছবি- সংগৃহীত।

বিশ্বে প্রতিদিনই ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকর অভ্যাস আর অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এই রোগের জন্য অনেকটাই দায়ী। তাই জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনার পাশাপাশি খাবারের তালিকায়ও যোগ করতে হবে কিছু খাবার। তবেই এই মরণব্যাধি থেকে দূরে থাকে সম্ভব।

চলুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো রাখবেন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়-

রসুন :
রসুনে সালফারে পূর্ণ অ্যালিসিন ও ডায়াল্লিল ডিসালফাইড থাকায় তা নানা অসুখ প্রতিরোধ করতে পারে। টিউমার জাতীয় অসুখের প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে রসুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রস্টেট ক্যান্সার ঠেকাতে রসুনের বিকল্প নেই।

হলুদ :
হলুদ হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। কোলনে কোনোরকম টিউমার বা ঘা কমাতে হলুদ বিশেষ উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, টানা এক মাস খাবারের সঙ্গে চার গ্রাম করে হলুদ মশলা হিসাবে যোগ করার পর কোলন ক্যান্সারে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি রুখতেও এই মশলা বিশেষ উপকারী।

ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্রকলি বেশ কার্যকরী। ব্রকোলিতে সালফোরাফেন থাকায় তা কোষ ধ্বংসে সক্ষম। কোলন, প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যান্সারে ক্ষেত্রে এই সবজি বিশেষ কার্যকর।

টমেটো :
টমেটো মূলত একটি ফল। এর আরেক নাম ‘নিউট্রিশনাল পাওয়ার হাউস’। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে পারে এটি। এতে আছে লাইকোপেন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। আবার টমেটোর ভিটামিন এ, সি ও ই ক্যান্সারবান্ধব মৌলের শত্রু। টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএ যুক্ত কোষ নষ্ট করতে পারে। তাই সপ্তাহে দুই-তিনটি টমেটো খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

বাদাম :
বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। পাশাপাশি পটাশিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। কিছু প্রোটিন ও ফাইবারও থাকে বাদামে। আখরোটে থাকে প্রদাহরোধী ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষণায় জানা গেছে, বাদামের সেলেনিয়াম উপাদানটির কারণে কোলন, ফুসফুস, যকৃত এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। সকালে বা বিকেলের নাশতায় চীনাবাদাম রাখতে পারেন। এ ছাড়াও বাদামের মাখনও উপকারী।

হলুদ :
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণা বলছে, হলুদের কারকিউমিন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ বা তরকারিতে প্রয়োজনমতো হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন:
>মুক্তির আগেই ৩৫ কোটিতে ‘পাঠান’!
>মাশরাফীকে জাতীয় দলে দেখতে চান আশরাফুল

ফুলকপি ও ব্রকলি :
দুটোই ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ সবজি। আঁশযুক্ত সবজির মতো এরাও শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। এ ছাড়া এতে থাকা গ্যালাকটোজ উপাদান অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া দূর করে। ব্রকলির সালফোরোফেন, ইনডোলস উপাদান ফুসফুস, ব্লাডার, লিমফোমা ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

তরমুজ :
ফলের মধ্যে তরমুজ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বেশ ভালো লড়ে। তরমুজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। প্রতিদিনের চাহিদার ৮০ শতাংশ ভিটামিন সি, ৩০ শতাংশ ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন দিতে পারে এটি। তা ছাড়া তরমুজেও লাইকোপেন থাকে।

সবুজ শাক :
সবুজ শাক ফাইবার, ফোলেট, ক্যারোটিনয়েড ও ফ্লেভনয়েডের চমৎকার উৎস। এ যৌগগুলোর বেশিরভাগেরই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপকারিতা আছে যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। পেঁয়াজ : নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এর ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান টিউমারের বেড়ে ওঠা বিলম্বিত করে।

জানুয়ারি ২৩.২০২৩ at ১০:৩২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর