যানবাহনের বিমা ফের বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ

ছবি- সংগৃহীত।

সাম্প্রতিক কালের মোটর ইন্স্যুরেন্স নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাই উদ্যোগ নিয়েছেন; যাতে ইন্স্যুরেন্স সেক্টরে আশার আলো দেখা দিচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট যারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কেননা ২০১৮ সালে মোটর ইন্স্যুরেন্স থার্ড পার্টি বাতিলসংক্রান্ত যে আইনটি পাস হলো এবং তার আগে যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছিল।

সে বিষয়ে বীমাসংশ্লিষ্টদের আলাপ-আলোচনা বা বাদ-প্রতিবাদ তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না বা এ বিষয়ে খুব একটা দেনদরবার হয়েছে, বীমাসংশ্লিষ্টদের কর্তৃক তারও জুতসই প্রমাণ নেই। ফলে আইনটি পাস আর পরবর্তী সময়ে প্রয়োগ যখন শুরু হলো আর ইন্স্যুরেন্স মার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়ল, তখনই বীমাসংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে উঠল।

বিশেষ করে যখন বিআরটিএ ঘোষণা দিল যে গাড়ির মালিককে ইন্স্যুরেন্স করা বাধ্যতামূলক নয়। আর যখন মোটর ইন্স্যুরেন্স পলিসি না থাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আর জরিমানা করা হচ্ছে না, ফলে অধিকাংশ গাড়ির মালিক তাদের গাড়ির বীমা করছেন না, তখন মোটর প্রিমিয়াম খাতে বিশাল অংকের আয়ে ঘাটতি দেখা দিল।

ফলে অনেক ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শাখা অফিসগুলোর আয় ব্যাপক হারে কমে গিয়ে শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, তখন সংশ্লিষ্ট সবাই একটু নড়েচড়ে বসলেন বলে মনে হয়। তাছাড়া ২০২০-২১ বা ২০২১-২২ সালে সরকারের এক্সচেকারও মোটর বীমার আয় থেকে উপার্জিত ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং হবে যদি না মোটর বীমা বাধ্যতামূলক করা হয়।

আরো পড়ুন:
>বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে ভারতকে এগিয়ে রাখছেন অশ্বিন
>ঠোঁটের চামড়া কেন ওঠে?

এ বিষয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এর পর ওই বছরের ডিসেম্বরে তৃতীয়পক্ষের ঝুঁকি বিমা তুলে দেয় বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকেই মূলত মালিকরা পরিবহনের বিমা করা প্রায় বন্ধ করে দেন। বর্তমানে যেসব পরিবহন চলাচল করছে তার সিংহভাগেরই কোনো বিমা নেই। বিশেষ করে বিমা ছাড়াই চলাচল করছে মোটরসাইকেল।

জানুয়ারি ২২.২০২৩ at ১১:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর