ঠোঁটের চামড়া কেন ওঠে?

ছবি- সংগৃহীত।

সাধারণত ঠোটের আদ্রতা হারিয়ে গেলে তা শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। ঠোঁট ফাটার প্রধান কারণ হল ডিহাইড্রেশন, ধূমপান, ঠোটে সরাসরি সাবান ব্যবহার করা, ভিটামিন এ, বি, সি এর অভাব এবং সূর্যের অতিরিক্ত প্রভাব। সুন্দর ঠোট পেতে নিচে কিছু টিপস দেখুন গ্রীষ্ম ও শীতকালে ঠোঁট বেশি ফাটে। ঠোটের ফাটা রোধ করতে ঘি বা মাখন ব্যাবহার করতে পারেন। -নিম পাতার এক্সট্র্যাক্ট ফেটে যাওয়া এবং শুষ্ক ঠোঁটের জন্য খুবই কার্যকর।

লেবুর রস দিয়ে ঠোটে ম্যাসাজ করুন প্রতিদিন ১০ মিনিট। -শীতকালে আপেল থেতলে নিয়ে ঠোঁটে মাখতে পারেন। -ডালিম ফুল নিয়ে তা থেকে তার তেল বের করে নিন। এই তেল ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে। -নরম, সুন্দর, মসৃণ ঠোঁট জন্য ভাল কোন লিপ বাম অবশ্যই ব্যাবহার করবেন। এটি আপনার ঠোঁটের আদ্রতা রক্ষা করবে ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি দিবে।

পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা জটিলা দেখা দেয়। ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টিবিদ আমান্দিপ কালসি বলেছেন, শক্তির মাত্রা, মস্তিষ্কের ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি, হজম প্রক্রিয়া, স্নায়ূর কার্যকলাপ, হরমোন উৎপাদন, পেশির টানটান ভাব ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য- এসবের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন বি।

ভিটামিন বি টুয়েলভ কোষের বৃদ্ধি ও সেরে ওঠাতে বিশেষভাবে প্রয়োজন। এই ভিটামিনের অপর্যাপ্ততায় মুখে শুষ্কভাব তৈরি হতে পারে। বি ভিটামিন দেহ বেশি সময় ধরে রাখতে পারে না। তাই প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিনের চাহিদা পূরণের প্রয়োজন পড়ে।

আরো পড়ুন:
>বিশ্বের চতুর্থ ধনী তারকা শাহরুখ খান
>লালমনিরহাটে গলা কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা

পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা জটিলা দেখা দেয়। ক্যালিফোর্নিয়ার পুষ্টিবিদ আমান্দিপ কালসি বলেছেন, শক্তির মাত্রা, মস্তিষ্কের ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দৃষ্টিশক্তি, হজম প্রক্রিয়া, স্নায়ূর কার্যকলাপ, হরমোন উৎপাদন, পেশির টানটান ভাব ও হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য- এসবের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন বি।

ভিটামিন বি টুয়েলভ কোষের বৃদ্ধি ও সেরে ওঠাতে বিশেষভাবে প্রয়োজন। এই ভিটামিনের অপর্যাপ্ততায় মুখে শুষ্কভাব তৈরি হতে পারে।

বি ভিটামিন দেহ বেশি সময় ধরে রাখতে পারে না। তাই প্রতিদিনের খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিনের চাহিদা পূরণের প্রয়োজন পড়ে।

বেশি সময় সূর্যালোকে থাকা

গরমের মধ্যে ঠোঁটের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে সূর্যের আলো। রোদপোড়া শুধু দেহে নয় মুখেও হতে পারে। আর দেহের অন্যান্য অংশের চাইতে মুখে রোদ পড়েও বেশি।

নিউইয়র্কের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নাসবাউম রিয়েলসিম্পল ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে ঠোঁটের চামড়া ওঠা, রং পরিবর্তন, প্রদাহ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই ৩০ বা এর বেশি মাত্রায় এসপিএফ সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করতে হবে।

লিপবামে আসক্তি

লিপবাম ঠোঁট আর্দ্র রাখে-এমনটাই ধারনা সবার। কিন্তু লিপবাম ঠোঁট আদ্র রাখার পরিবর্তে উল্টো শুষ্ক করে দিতে পারে। এর কারণ হল লিপবামে থাকা উপাদান।

এই বিষয়ে নিউ ইয়র্কয়ের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ মার্নি নাসবাউম বলেন, কিছু লিপবামে শুধু ‘হিউম্যাট্যান্টস’ উপাদান থাকে, যা সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতা দেয়। তবে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না।

রিয়েলসিম্পল ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন বাতাস থেকে পানি শুষে ঠোঁট আর্দ্র রাখে। তবে পেট্রোলিয়াম, বিওয়াক্স, শিয়া বাটার, নারিকেল তেল বা স্কোয়েলিন- এই ধরনের ‘অকুলসিভ’ বা আর্দ্রতা আটকে রাখার উপাদান লিপবামে না থাকলে, দ্রুতই ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে বার বার লিপবাম ব্যবহার করতে হয়।

আরো পড়ুন:
>বিশ্বের চতুর্থ ধনী তারকা শাহরুখ খান
>লালমনিরহাটে গলা কেটে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা

তাই লিপবাম কেনার সময় এসব উপাদানের দিকে নজর দিতে হবে। পড়তে হবে লেবেল। আর বার বার লিপবাম ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়লে সেটা পরিবর্তন করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

জানুয়ারি ২২.২০২৩ at ১০:৫৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর