তুমব্রু শূন্যরেখায় আবারো গোলাগুলি

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত। ফাইল ছবি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি-ঘুমধুমের তুমব্রু শূন্যরেখায় আবারো গোলাগুলি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত আটটার দিকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন (আরএসও) মিয়ানমারের এই দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী সংগঠন মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

বুধবার মিয়ানমারের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তুমব্রু শূন্যরেখায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামিদ উল্লাহ (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। আহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গোলাগুলি চলার সময়ে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগে এতে প্রায় ৫০০ ঘর পুড়ে যায়। ওই ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ৬২১টি ঘর ছিল। গোলাগুলি ও ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ভয়ে ক্যাম্পের সিংহভাগ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়েছে। বাকি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তুমব্রু সীমানার দুটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে উভয়ের মধ্যে গোলাগুলিতে এপারের স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক বিরাজ করছে। বুধবারের গোলাগুলি ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে এপারে বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি চললেও এপারের স্থানীয় জানমালের ক্ষয়ক্ষতির খবর এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসেনি।