ঝিকরগাছায় প্রবাসীর স্ত্রী নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকের সাথে লাপাত্তা !

জেলার ঝিকরগাছায় সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ সংসারের অন্য মালামাল নিয়ে প্রেমিকের সাথে লাপাত্তা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর ভাসুর রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে, গত ৫জানুয়ারী উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের ফতেপুর খালাসীপাড়া গ্রামে। জানাগেছে, অভিযোগকারীর ভাই মৃত এজাহার আলীর ছেলে আমিনুর রহমান সংসারে সচ্ছলতা আনতে গত সাড়ে ৪বছরপূর্বে স্ত্রী আমেনা খাতুন ও ৬মাস বয়সের শিশুপুত্র তামিম হোসেনকে রেখে সৌদি আরবে যায়। সেই থেকে তার আয়কৃত সমুদয় টাকা তার স্ত্রী আমেনা খাতুনের নিকট পাঠাতেন।

সম্প্রতি পাশ্ববর্তী বারবাকপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের ছেলে মুসফিকুর রহমানের সাথে আমিনুর রহমানের স্ত্রীর প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে উঠে। ইতিপূর্বে কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শ্বশুর আজিজ খাঁ ও স্ত্রী আমেনা খাতুনের যোগসাজসে জমি বন্দক রাখার জন্য একলাখ টাকা দিয়েছে।

এছাড়া, গত ৫জানুয়ারী সকালে আমেনা খাতুনের কাছে থাকা নগদ সাড়ে ৬লাখ টাকাসহ আরও আনুমানিক ৩লাখ টাকা মূল্যের এক জোড়া স্বর্ণের রুলি, একটি স্বর্ণের চেইন, ৩জোড়া স্বর্ণের কানেরদুল, স্বর্ণের আংটি ও তার ব্যবহৃত মালামালসহ ভাইপো তামিম (৫) কে নিয়ে পাশ্ববর্তী বারবাকপুর গ্রামের শিমুল হোসেনের ছেলে প্রেমিক মুসফিকুর রহমানের সাথে পালিয়ে যায়।

আমেনা খাতুন ও মুসফিকুর তাদের ব্যবহৃত ইমোতে চ্যাটের মাধ্যমে প্রবাসী আমিনুর রহমানের একমাত্র পুত্র তামিম হোসেনকে হত্যা করারও পরিকল্পনা করেছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে প্রবাসী আমিনুর রহমান দেশে আসবেন বলে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযোগকারী রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন। প্রবাসী আমিনুর রহমান দেশে আসলে উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে থানার এস আই আমির হোসেন জানিয়েছেন।