বেড়েছে সবজির দাম, চাল-মুরগিও ঊর্ধ্বমুখী

ছবি- সংগৃহীত।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সরু চালের দাম। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। শীতের সবজির দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। সব সবজিই এখন গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আজ সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

মালিবাগ বাজারের চাল ব্যবসায়ী হালিম চৌধুরী বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশিভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি।

বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। পাশাপাশি বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। আবার নিত্যবাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দোকানিরা এজন্য সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায় করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে।

সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ভরা মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্ত শাকসবজি থাকলেও দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো গেল সপ্তাহের তুলনায় প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মুলা ও প্রতি পিস ফুলকপিতে ১০ টাকা বেড়ে ৪০, ৪০ টাকার শিমের কেজি এখন ৬০, কাঁচামরিচ ১০০, করোলা ১২০, উচ্ছে ৮০, তাল বেগুন ৮০, লম্বা বেগুন৬০, বরবটি ১০০, ভালো মানের প্রতি পিস লাউ ১০০, মাঝারি আকার ও মানের প্রতি পিস ৮০ টাকা।

আরো পড়ুন:
>মাঘের শীতে কাঁপছে শ্রীমঙ্গল, তাপমাত্রা নামল ৫.৬ ডিগ্রিতে
>উত্তাপ ছড়িয়ে মেসিই হাসলেন শেষ হাসি

এর আগে যা সর্বোচ্চ ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। পেঁপের কেজি ২৫ থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন আলুর কেজি ৩০, ১০০ টাকার শিমের বিচি ১২০, খোলা মটরশুটির কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল, পালং, কলমি ও খেসারি ডালের শাকের আঁটি আকারভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ ও পুঁইশাকের আঁটি আকারভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা।

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের প্রভাবের বিষয়ে টিকে গ্রুপের ফাইন্যান্স ও অপারেশন পরিচালক মো. সফিউল আতহার তাসলিম কালবেলাকে জানান, গেল বছর থেকে শিল্প মালিকরা চাহিদামতো গ্যাস না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এখন দাম বাড়ানোর ফলে সরবরাহ ঠিক থাকলে তা উৎপাদনে হয়তো সহায়ক হবে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধির একটা প্রভাব নিত্যপণ্যের ওপর পড়বে। ঠিক কেমন প্রভাব পড়তে পারে, সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কোনো তথ্য জানাতে পারেননি। এ বিষয়ে তাদের পর্যালোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

জানুয়ারি ২০.২০২৩ at ১১:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর