আবারও বাড়ল গ্যাসের দাম

ছবি- সংগৃহীত।

শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষর করেন। ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের নতুন এ মূল্য নির্ধারণ বলে উল্লেখ করা হয় প্রজ্ঞাপনে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে গ্যাসের এই দাম কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে দেখা যায়, বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ, দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। শিল্পে উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিট প্রতি গ্যাসের দাম ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে।

হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক শ্রেণির গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি ইউনিটে দাম দেবেন ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। আগে তারা দিচ্ছিলেন ২৬ টাকা ৬৪ পয়সা। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে তেল ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।

আরো পড়ুন:
>ঠাকুরগাঁওয়ের নবগঠিত ভূল্লী থানায় জুয়ার আসর থেকে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ
>নীলফামারীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

এর আগে গত বছরের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।

এ ছাড়া আবাসিকে একচুলার দর ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিটপ্রতি দর ১২.৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়।

জানুয়ারি ১৮.২০২৩ at ১৬:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর