হত্যার ৬ বছর পর কঙ্কালের পরিচয় ও রহস্য উদঘাটন

হত্যার ৬ বছর পর যশোরে উদ্ধার কঙ্কালের পরিচয় ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। শহরের পুরাতনকসবা নিরিবিলি এলাকার জনৈক বজলুর রহমানের জমির পরিত্যক্ত সেফটি ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া ড্রামভর্তি কংকালটি রাজিব হোসেন কাজীর।

তিনি খুলনা দিঘলিয়ার চন্দলিমহল এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। কঙ্কালের পরিচয় ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পিবিআই রিকসাচালক সালামকে আটক করেছে। এ ঘটনায় শেখ সজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে নিহত রাজিব হোসেনের পিতা ফারুক হোসেন মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) কোতয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

আটক সালাম বর্তমানে যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার আবদার ড্রাইভারের বাড়ির ভাড়াটিয়া এবং নড়াইলের লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা গ্রামের মৃত নূর মিয়ার ছেলে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউর রহমান আটক সালামকে আদালতে সোপর্দ করেছেন। রাজিব হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন সালাম।

আরো পড়ুন:
> ঠাকুরগাঁওয়ের নবগঠিত ভূল্লী থানায় জুয়ার আসর থেকে আটজনকে আটক করেছে পুলিশ
> নীলফামারীতে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রাজিব হোসেন কাজী তার যশোর শহরের চাচা হাসমতের বাসায় থেকে পুরাতন কসবার আবু তালেব সড়কের শেখ সজিবুর রহমানের অফিস এবং বাড়িতে কাজ করত।

২০১৬ সালের ২৯ মার্চ রাজিব তার পিতাকে ফোন করে বাড়ি যাওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু রাজিব বাড়ি না যাওয়ায় ফোন করে চাচা হাসমতের কাছে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। রাজিবের পিতা ফারুক হোসেন ও মা মাবিয়া বেগম যশোর এসে অনেক খোঁজাখুজি করেন।

শেখ সজিবুর রহমানের বাড়ি ও অফিসের যেয়ে খোঁজ নেন তারা। ছেলেকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে একটি জিডি করে যশোর পিবিআই অফিসে দিয়ে তারা খুলনার বাড়িতে ফিরে যায়। রাজিব নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর শেখ সজিবুর রহমান তার অফিস ভেঙ্গে ফেলেছে বলে তারা জানতে পারেন। তারা ফকিরের উপর নির্ভরশীল হয়ে রাজিব ফিরে আসবে বলে সেই থেকে অপেক্ষা করতে থাকেন।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ at ১৬:২০:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস