চট্টগ্রামের ভূজপুর এলাকা হতে র্যাব-৭, ফেনী কর্তৃক মাদক বিরোধী একটি অভিযানে ১২২কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ ০৩জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ১৮লক্ষ টাকা। মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস ও ১টি প্রাইভেটকার জব্দ।
রাত সারে ৭টায় ভূজপুর থানাধীন করেরহাট-রামগড় রোডের পাকা রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে গাড়ী তল্লাশী শুরু করে। এসময় মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সংকেত দিলে উক্ত গাড়ী দুটি না থামিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গাড়ীসহ আসামীদের আটক করে। আটকৃতরা হলেন,১।মোঃ ইউসুফ মিয়া (৫০), ২। মো. বেলাল হোসেন (৩৫), এবং ৩।বিফক দাশ (৩৭)।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে,তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে ড্রাইভিং পেশার আড়ালে সুকৌশলে মাদকদ্রব্য গাঁজা কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রি করে আসছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে,কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার যোগে মাদকদ্রব্য গাঁজা বহন করে বিক্রির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানাধীন করের হাট হতে রামগড়ের দিকে যাচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন:
>ইবিতে ৪৭৭ আসনের বিপরীতে অষ্টম মেধাতালিকা প্রকাশ
>ফুচকা এবং জিলাপি-এর ইংরেজি কী?
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশী করে তাদের হেফাজতে থাকা উক্ত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের পিছনের সীটের উপর হতে ০৫টি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে মোট ১২২কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ আসামীদের’কে গ্রেফতার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য,সিডিএমএস পর্যালোচনা করে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইউসুফ মিয়া এর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ৩টি এবং বেলাল হোসেন এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার ভূজপুর থানায় ১টি মাদক আইনে মামলা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানুয়ারি ১৭.২০২৩ at ১৯:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর
