ভূঞাপুরে খাসজমিতে অবৈধ দোকান গুড়িয়ে দিলো ম্যাজিস্ট্রেট 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল বাজারে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল করে দীর্ঘ দিন যাবৎ দোকান করে আসছিলো কালিহাতি উপজেলার মাছুহাটা গ্রামের মতি ফকিরের ছেলে আ. মালেক ফকির।

মঙ্গলবার(১৭ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার নিকরাইল বাজারে নির্মাণাধীন অবৈধ দোকানঘরে পুলিশ, আনসার বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন মো. আবুবকর সরকার সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। আরো উপস্থিত ছিলেন, ভূঞাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতি, নিকরাইল ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাখের হোসেন (তহশিলদার)।

এসময় খাসজমিতে অবৈধভাবে দোকানঘর নির্মাণ করায় তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে জোরপূর্বক দোকানঘর নির্মাণ করে আসছিলেন আ. মালেক ফকির নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। এ বিষয় নিয়ে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে মোছা. মোস্তারী কাদেরী,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)টাঙ্গাইল। স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয় এত দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, আপনি ভূঞাপুর উপজেলাধীন ১৮(×iii)২০১৮-১৯ নং উচ্ছেদ মোকদ্দমাভূক্ত নিকরাইল মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৩৮৫ নং দাগের ১.৮৫০০ একর ভূমিতে অবৈধ দখলে আছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এতে সরকারি স্বার্থের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ভূমি ও ইমারত(দখলপুনরুদ্ধার) আদেশ, ১৯৭২ এর ৫(১) ধারা অনুযায়ী পত্র প্রাপ্তির ০৭(সাত) দিনের মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয় উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন।

আরো পড়ুন:
>শার্শা সীমান্তে ৬ কোটি টাকার স্বর্ণের বার সহ পাচারকারী আটক
>চুয়েট ভিসির সাথে রাউজান প্রেস ক্লাবের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাখের হোসেন (তহশিলদার) ওই দোকান ঘরের মালিক আ. মালেক ফকিরকে বার বার দোকানঘর সরিয়ে নেয়ার জন্য বলা হয় কিন্তু তার পরেও দোকানঘর সরিয়ে নেয়নি। এ বিষয়ে মো. আবুবকর সরকার সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় টাঙ্গাইল, সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।

জানুয়ারি ১৭.২০২৩ at ১৮:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর