মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে ঝিকরগাছার লাউজানি রেলক্রসিংয়ের ডিভাইডার

একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ নেই। কোনভাবেই থামছে না যশোরের ঝিকরগাছার লাউজানি রেল ক্রসিংয়ের ডিভাইডারের সড়ক দূর্ঘটনা। যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে এই ডিভাইডার। একের পর এক যানবাহন দূর্ঘটনার শিকার হলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। সম্প্রতি ঝিকরগাছা থানা পুলিশ রিপ্লেকশন ষ্টিকার লাগালেও সেটা বৃথা চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজানি রেল ক্রসিংয়ে ডিভাইডার বসিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কিন্তু অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিকভাবে ডিভাইডার স্থাপন করায় হিতে বিপরীত হচ্ছে। সড়ক দূর্ঘটনা কমে যাওয়ার পরিবর্তে বেড়ে গেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অগণিত সংখ্যক যানবাহন ডিভাইডারে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

সরু রাস্তায় ডিভাইডার বসানোর কারণেই দূর্ঘটনা বেড়েছে বলে বিজ্ঞ জনেরা মতামত দিয়েছেন। দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল এবং সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার যানবাহন চলাচলা করে এই সড়কে। ফলে সড়কটি দেশের ব্যস্ততম সড়কের মধ্যে অন্যতম। কিন্ত লাউজানি রেল ক্রসিংয়ে দূর্ঘটনা রোদে ডিভাইডার দেয়া হলেও সেটা দেখার জন্য কোন লাইট বা ল্যাম্পপোস্ট দেয়া হয়নি। ফলে সরু রাস্তায় রাতে বা ঘন কুয়াশার মধ্যে ডিভাইডার দেখতে পায় না গাড়ী চালক। এতে করে দূর্ঘটনার শিকার হয় তারা।

আরো পড়ুন:
>যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রসহ দুজন নিহত
>গুচ্ছের জাতাঁকলে ফাঁদে কুবির হাজারো শিক্ষার্থী

রোববার ১৫ জানুয়ারি ঘনকুয়াশায় একটি ট্রাক ডিভাইডারে উপরে উঠে উল্টে পড়েছে। এর আগে ৮ জানুয়ারি, ৩ জানুয়ারি ও ২৬ ডিসেম্বর একাধারে কয়েকটি ট্রাক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এছাড়া ছোট ছোট দূর্ঘটনা ধারাবাহিকভাবে ঘটেই চলেছে।

একের পর এক দূর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন বা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। গত ৯ জানুয়ারি ঝিকরগাছা থানা পুলিশ রিপ্লেকশন ষ্টিকার লাগালেও সেটা খুব বেশি কাজ দিচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবী, রেলক্রসিংয়ের জায়গা প্রসারিত করা হোক। তা নাহলে ডিভাইডার তুলে দেয়া হোক। এব্যাপারে জানার জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলীকে ফোন দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি।

জানুয়ারি ১৫.২০২৩ at ১৬:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এমএইচ