গুচ্ছের জাতাঁকলে ফাঁদে কুবির হাজারো শিক্ষার্থী

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রায় ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষের পাঠদান শুরু করতে পারেনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধসহ বিলম্বিত ভর্তি কার্যক্রমের ফাঁদে আটকা পড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এর বলি হচ্ছেন নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। গুচ্ছভুক্ত প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই একই চিত্র।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে বছর শুরুর ১ম দিন থেকেই বিভাগগুলোতে ক্লাস শুরু হত। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে যুক্ত হওয়ার কারণে গত বছরও ২০২০-২১ সেশনের ক্লাস ২ মাস দেরিতে শুরু হয়েছিল। এ বছর ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের প্রায় ৬ মাস হলেও চূড়ান্ত ভর্তি এবং পাঠদান শুরু করতে না পারায় সেশনজটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

এর আগে গত বছর ২০২১-২২ সেশনের ৪ নভেম্বর প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশের পর ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত ৮ম মেরিট প্রকাশ করেও আসন পূর্ণ করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. সাইফুর রহমানের কাছ থেকে জানা যায়, ৮ম মেরিট লিস্ট পর্যন্ত ৮৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এখনও ১০৪০ আসনের বিপরীতে ১৯৮টি সিট খালি রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মাহবুবা আক্তার বলেন, আমাদের সাথে পাস করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় প্রথম সেমিস্টার শেষ। একই সেশনের এমন বৈষম্য আমাদের স্পষ্টত সেশনজটের শঙ্কায় ফেলছে। আমরা এখনও ক্লাসের মুখই দেখতে পেলাম না।

প্রাথমিকভাবে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনা মহামারির কারণে ক্লাস গত বছর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। তবে ইউজিসি এই বছর জানুয়ারিতে ক্লাস শুরুর নির্দেশ দিলেও ক্লাস শুরুরু হচ্ছে না। সব বিশ্ববিদ্যালয় চূড়ান্ত ভর্তির তারিখ দিচ্ছে কিন্তু কুবির কি ক্লাস শুরু করার প্লান নাই নাকি?

আরো পড়ুন:
>পৌষ সংক্রান্তি পিঠা উৎসব, হাজারো মানুষের ঢল
>কুবিতে আবার ভর্তি হচ্ছেন খালেদ হত্যার প্রধান আসামি

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা বলছেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন প্রক্রিয়ার কারনে আরও বেশি ধীরগতির চলমান হওয়ায় ক্লাস শুরু হতে দেরি হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের শঙ্কা ও অতীতের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ কমিটির আহ্বায়ক রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো.আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, এটাতো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না, কেন্দ্রীয় গুচ্ছ কমিটি যখন বলবে তখন ভর্তি কার্যক্রম শুরু করবো। এই বিষয়ে ভিসি স্যাররা একটা মিটিং করবে তখন জানতে পারবো।

শিক্ষার্থী ভর্তির ধীরগতি ও সেশনজটের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ কমিটির আহ্বায়ক ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমরা শীঘ্রই ভর্তি সম্পূর্ণ করতে এবং ক্লাস শুরু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জানুয়ারি ১৫.২০২৩ at ১৫:৩৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এমএইচ