ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার একই দিনে বায়োমেট্রিক

ছবি: সংগৃহীত

ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার দিনই এখন থেকে বায়োমেট্রিক দেওয়া যাবে। বায়োমেট্রিকের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) যেকোনো সার্কেলে একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক দেওয়া যাবে।

সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিআরটিএ ঢাকা বিভাগ পরিচালকের (ইঞ্জিঃ) কার্যালয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে বিআরটিএ, ঢাকা মেট্রো-১ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র জোয়ার-সাহারা), ঢাকা মেট্রো-২ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র- ইকুরিয়া), ঢাকা মেট্রো-৩ সার্কেল (পরীক্ষা কেন্দ্র- দিয়াবাড়ী, উত্তরা) ও ঢাকা জেলা সার্কেলের (পরীক্ষা কেন্দ্র- ইকুরিয়া) ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রার্থীদের একই দিনে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা ও বায়োমেট্রিক গ্রহণের সুবিধার্থে উল্লেখিত সার্কেলের প্রার্থীদেরকে তাদের লার্নারে উল্লেখিত কাগজপত্রাদিসহ স্ব-স্ব পরীক্ষা কেন্দ্রে সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ৮টায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে উত্তরা বিআরটিএ দায়িত্বরত যে কর্মকর্তা রয়েছেন তিনি কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তা বোধগম্য নয় । দালালদের দৌরাত্ম্য যেন থামছেই না বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো সার্কেল ৩ উত্তরায়। এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রো সার্কেল ৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন ও মালিকানা বদলি শাখার কাজী মোহাম্মদ মোরসালিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমাদের পরিচালক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ সাথে কথা বলেন তিনি মিরপুর অফিসে বসেন ।

আরো পড়ুন:
> ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষার একই দিনে বায়োমেট্রিক
> কোথায় দুর্নীতি হচ্ছে তথ্য দেন, ব্যবস্থা নেব: প্রধানমন্ত্রী

বিষয়টিতো মিরপুর অফিসের নয় উত্তরার বললে তিনি বলেন এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। আরেক সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোবারক হোসেন ফোন ধরেননি বিধায় তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অপর সহকারি পরিচালক লিটন বিশ্বাস বলেন আপনি আমাদের উপ-পরিচালক মোঃ কাজী মুরসালিন এর সাথে কথা বলতে পারেন এ ব্যাপারে আমর কোনো কথা বলার ইখতিয়ার নেই। উথোয়াইন চৌধুরী নামে অন্য আরেকজন সহকারি পরিচালকের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি উক্ত প্রতিবেদককে জানান সরকারি যত দপ্তর আছে প্রত্যেক জায়গায় সাধারণ মানুষ কমবেশি ভোগান্তির শিকার হন এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে আমাদের বিআরটির ক্ষেত্রে হয়তবা কমবেশি হতে পারে এটা আমি বলবো না আমরা একেবারেই দুধে ধোয়া তুলসী পাতা।

তিনি আরো দাবি করেন যে এই ভোগান্তির পরিমাণ আগের তুলনায় এখন ১০ শতাংশেরও কম হতে পারে। দালালরা স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় তাদেরকে সহজেই নির্মূল করা যাচ্ছে না। গত কয়েক মাস আগে একজন দালাল কে ম্যাজিস্ট্রেট মহোদ্বয় একমাসের জেল এবং জরিমানা করে তবুও তাদের শিক্ষা হচ্ছে না। আমরা কিভাবে তাদেরকে আর প্রতিহত করবো বলেন।

তিনি আরো বলেন শুধু মাত্র আমাদের দোষ নিয়েই লিখবেন না আমাদের গুণগুলো তুলে ধরবেন তা না হলে আমরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবো। উথোয়াইন চৌধুরী বলেন বড় বড় সমস্যা গুলো তুলেধরেন আমরা অবশ্যই সমাধান করার চেষ্টা করব। মহিদুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান। মোটরসাইকেল ড্রাইভিং এর জন্য তিন বছর আগে আবেদন করেছিলাম তিন বছর পরে আমি লাইসেন্সটি পেয়েছি। যদি দালালদের মাধ্যমে যেতাম তাহলে হয়তবা আমি তিন মাসের মধ্যেই আমার লাইসেন্সটি পেয়ে যেতাম। এই রকম অসংখ্য মহিদুল বিআরটিএ অফিসের আশেপাশে ঘুরে ফিরে জুতা ক্ষয় করে চলেছেন। কে শুনবে তাদের আর্তনাথ।

জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ at ১৬:২১:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস