ইজতেমায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদায়

ইজতেমা কেন্দ্র করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানা যায়, ট্রফিক বিভাগকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে ঢেলে সাজিয়েছি। আব্দুল্লাহপুর থেকে ধীরাশ্রম একটা সেক্টর, আরেকটা মুন্নু গেট থেকে কামারপাড়া ব্রিজ, কামারপাড়া ব্রিজ থেকে ভোগড়া চৌরাস্তা, ভোগড়া চৌরাস্তা থেকে তিনশ ফিট রাস্তা এবং চৌরাস্তা কোনাবাড়ি হয়ে ডাইভারশন রোডকে ভাগ করেছি। যদি আমরা দেখি রাস্তায় জ্যাম চলে আসে তাহলে তিন শ ফিট হয়ে আমরা ঢাকায় গাড়ি ঢুকাবো ও আশুলিয়া হয়ে কোনাবাড়ি দিয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় গাড়ি ঢুকবে।

শুক্রবার সকালে জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান, ইজতেমার নিরাপত্তায় সকল কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ১০ হাজার পুলিশ কাজ করছে। আশা করি কোন অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটবেনা। সকলে যেন নিরাপদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারে সে বিষয়ে আমরা সচ্চার আছি। বিদেশী মেহমানরা মাঠে অবস্থান করছেন। এখানে লাখ লাখ মানুষ এসেছেন। আমাদের কাজ হলো যেকোনো মূল্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের ১ম দিন শুক্রবার হওয়ায় ইজতেমা মাঠে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের বেশ কিছু এলাকা জুড়ে দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ আদাইয় করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ। নামাজে ইমামতি করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা জুবায়ের। ইজতেমার ময়দানের মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা স্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে ইজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে।

আরো পড়ুন:
>রাঙ্গুনিয়ায় আগুনে পুড়ে এক পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
>তুরাগ তীরে জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির জমায়েত
>সরকারকে ধাক্কা দিতে গিয়ে বিএনপি নিজেই পড়ে গেছে

দুপুর ১২টার দিকে ইজতেমা মাঠ উপচে আশপাশের খোলা জায়গাসহ সব স্থান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের দিকে ছুটে আসেন জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। মাঠে স্থান না পেয়ে মুসল্লিরা মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে পেরেছেন হোগলা পাটি, চটের বস্তা ও খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। এতে করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে আসা মুসল্লি সুজন সারোয়ার জানয়, সকাল সাড়ে ৮ টায় বাসা থেকে বের হয়েছি ইজতেমার মাঠে জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য।

চৌরাস্তা থেকে হারিকেন পর্যন্ত গাড়িতে আসতে পেরেছি তারপর পায়ে হেটে তিন ঘন্টায় মিলগেট এসেছি। যে যেখানে পারছে সেখানেই বসে জুম্মার নামাজ আদায় করেছি। বড় জামাতে নামাজ আদায় করার অনেক ফজিলত। জুমার আগের বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা, জুমার খুতবা পড়েন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের। তিনিই জুমার নামাজের ইমামতি করেন। জুমার পর মাঠের মূলমঞ্চ থেকে বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাইল গোদরা। বাদ-আসর বয়ান করবেন মাওলানা যোবায়ের ও বাদ-মাগরিব ভারতের মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন। বয়ান অনুবাদ করবেন বাংলাদেশের মাওলানা উমর ফারুক।

জানুয়ারি ১৩.২০২৩ at ১৬:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর