কুবিতে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ ওমর-জাহিদ নেতৃত্বাধীন অংশের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নম্বার কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কাজী ওমর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু জাফর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উদযাপন কমিটির কমিটির আহ্বায়ক ড. স্বপন চন্দ্র মজুমদার।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ বিজয় লাভ করে। এরপর রিজার্ভ শূন্যে থাকা একটি দেশের মাটি ও মানুষকে নিয়ে তিনি দেশ গড়ার কাজে হাত দেন এবং একেবারে অল্পসময়েই তিনি বাংলাদেশকে একটি স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হন। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর দরজা সবসময়ই সবার জন্য খোলা ছিলো। নেতা কিংবা কর্মী বলে তিনি কখনো ভেদাভেদ দেখান নাই। তিনি তার কর্মীদের কলও ধরতেন সবসময়। যার ফলে তিনি সবাইকেই চিনতেন।

আরো পড়ুন :
>ষ্ট্রিট ফুডের নামে আমরা কি খাচ্ছি !
>ভাঙ্গুড়ায় ‘বন্ধু পরিবারের’ ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে যে কার্যক্রম গুলো হাতে নিয়েছেন তার সবগুলোর সূচনাই সেসময় বঙ্গবন্ধু করে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বঙ্গবন্ধুকেই স্বাধীনতা বিরোধীরা ৭৫ সালে হত্যা করে। এখন সময় এসেছে এর প্রতিশোধ নেয়ার। তবে আমাদের প্রতিশোধ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. মঈন বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা যিনি সারাজীবন বাংলাদেশের জন্য, মুক্তিকামী মানুষের জন্য, স্বাধীনতার জন্য কাজ করে গেছেন। অনেক ত্যাগ ও তিতীক্ষার মাধ্যমে আমাদেরকে এই দেশ উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন সেদিন রাস্তায়, বিমানবন্দরে মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন যা তার একটা ঐশ্বরীয় গুন।

উপাচার্য আরও বলেন, মহানুভবতা ও ক্ষমাশীলতা ছিল বঙ্গবন্ধুর দুইটি বড় গুন। বঙ্গবন্ধুর আরেকটি বড় গুন হলো তিনি কখনো থেমে থাকেননি। তার মতো এমন ত্যাগী মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ বর্তমানে দেখা যায়না। যার ফলে তিনি একসময় হয়ে উঠেছিলেন সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের নেতা।

এসময় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগের শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাংশের নেতৃবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানুয়ারি ১২.২০২৩ at ১৭:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দপক/এমএইচ