টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে, বিদেশি মেহমানসহ কয়েক লাখ মুসলিমের জমায়েত

ছবি- সংগৃহীত।

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ- বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। অবশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার তাবলিগ জামাতের রেওয়াজ অনুযায়ী জোহরের নামাজের পর নির্দেশনামূলক বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ৫৩তম এ ইজতেমার কার্যক্রম। ময়দানে ৩ দিনব্যাপী সুশৃঙ্খলভাবে অবস্থান, ইবাদত-বন্দেগির নিয়ম-কানুন ও করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে বয়ান করা হয় এতে। ইজতেমা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার প্রায় ২ হাজার বিদেশি মেহমানসহ কয়েক লাখ মুসলিম প্রায় ২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ইজতেমা ময়দানের বিশাল শামিয়ানার নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। মুসল্লিদের অবস্থান নিরূপণে ইজতেমা ময়দানকে ২৮টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ১ নং থেকে ৮ নং, ১৬, ১৮, ২০ ও ২১ নং খিত্তায় ঢাকা জেলা, ৯ নং খিত্তায় পঞ্চগড়, ১০ নং খিত্তায় নীলফামারী, ১১ নং খিত্তায় শেরপুর, ১২ ও ১৯ নং খিত্তায়

নারায়ণগঞ্জ, ১৩ নং খিত্তায় গাইবান্ধা, ১৪ নং খিত্তায় নাটোর, ১৫ নং খিত্তায় মাদারীপুর, ১৭ নং খিত্তায় নড়াইল, ২২ ও ২৩ নং খিত্তায় লক্ষ্মীপুর, ২৪ নং খিত্তায় ঝালকাঠি, ২৫ ও ২৬ নং খিত্তায় ভোলা, ২৭ নং খিত্তায় মাগুরা এবং ২৮ নং খিত্তায় পটুয়াখালী জেলা।

স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেছেন গতকাল। ১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টাঙানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। বিদেশি মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনি দিয়ে আবাসস্থল করা হয়েছে।

করোনার কারণে দুই বছর ইজতেমা বন্ধ থাকার পর এ বছর ইজতেমায় বেশিসংখ্যক মুসল্লি যোগ দেবেন বলে আশা করছেন ইজতেমার আয়োজকরা। ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত আর শৈত্যপ্রবাহ উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লির পদভারে পরিপূর্ণ তুরাগতীর। শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও মূলত বুধবার রাতেই পুরো ইজতেমা ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে দলবেধে মুসল্লিরা আসছেন ইজতেমা ময়দানে।

আরো পড়ুন :
>ঢাকা আসছেন শ্রীলেখা
>মাঠে ফিরেই মেসির গোল, জয় পেল পিএসজি

বুধবার রাত থেকেই দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে ইজতেমা মাঠের নির্ধারিত স্থানে (খিত্তায়) প্রয়োজনীয় মালামাল ও ব্যাগ নিয়ে অবস্থান করছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৫ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এই ইজতেমা ময়দানে আগামীকাল শুক্রবার। এতে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি এক জামাতে শরিক হয়ে জুমার নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজধানী ও গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং আশপাশের জেলা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি এ বৃহৎ জুমার নামাজে শরিক হবেন।

জানুয়ারি ১২.২০২৩ at ১১:২৪:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর