গোপালগঞ্জে জমির জন্য গাছে বেঁধে গৃহবধূর শরীরে আগুন

ফাইল ছবি

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে সুফিয়া বেগম (৫০) নামের এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সুফিয়া বেগম ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য ও ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী মোল্লার স্ত্রী। এ ঘটনায় সুফিয়া বেগমের ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজনকে আসামি করে গতকাল কাশিয়ানী থানায় মামলা করেছেন।

আরো পড়ুন:
> যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ট্রাকের চাপায় প্রাণ গেল ২ জনের
> তেঁতুলিয়ায় এবারও রাজসিক সৌন্দর্য ছড়াবে টিউলিপ

ওই মামলায় সুফিয়ার দেবর লিয়াকত আলী মোল্লাকে (৪৮) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওয়ান সাদিকুল ইসলাম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের বাগঝাপা গ্রামের ইউসুফ আলী মোল্লার সঙ্গে তাঁর ভাই লিয়াকত আলী মোল্লার পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

গতকাল সকালে ইউসুফ আলী ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এরপর লিয়াকত তাঁর ভাবি সুফিয়া বেগমকে বাড়ির উঠানে পেয়ারা গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। সুফিয়ার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাঁকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। উপপরিদর্শক দেওয়ান সাদিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় সুফিয়ার ভাই বাদী হয়ে গতকাল থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত লিয়াকত আলীকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জানুয়ারি ১১, ২০২৩ at ১৮:৫০:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস