বয়সভিত্তিক নারীদের যৌন চাহিদা যেমন!

ছবি- সংগৃহীত।

নারীর যৌনতা, তার কাম বাসনা, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে একটি নিষিদ্ধ বিষয়। এই প্রসঙ্গে কথা বলা খুব মুশকিল। নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকতে নেই- এমনটাই সামাজিকভাবে নারীকে শেখানো হয়।

যৌন চাহিদা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে অনেকে বিব্রত বোধ করেন। এজন্য সেক্স সংক্রান্ত অনেক ভুল তথ্য জেনে বড় হয় ছেলে-মেয়েরা। একইভাবে স্বামী স্ত্রীরাও সেক্সলাইভ নিয়ে নিজেদের মধ্যে সরাসরি কথা না বলার কারনে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হন।

একেক বয়সী মানুষের যৌন চাহিদা একেক ধরণের।

বয়স যখন ২০
বিশেষজ্ঞদের মতে, কুড়ি বছর বা তার আশেপাশে বয়স হলে নারীরা প্রতি ঘণ্টাতেই সেক্স বা যৌন বিষয় নিয়ে ভাবেন। এই বয়সের নারীরা যৌন কল্পনার বিষয়ে বেশ বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তার যৌন পছন্দের ব্যক্তিটি পুরুষ নাকি নারী সেটাও নির্ধারণ হয় এই বয়স থেকেই। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, সেক্স সংক্রান্ত কোনও ভুল ধারণা থাকলে তা কাটিয়ে ওঠার এটাই সেরা সময়। নচেৎ এরপর অনেক দেরি হয়ে যায়। সেক্স পজিশন নিয়েও অনেক বেশি এক্সপেরিমেন্ট হয় এই বয়সেই।

বয়স যখন ৩০
সেক্স সংক্রান্ত বিষয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার বয়স ৩০। গবেষণা বলছে, শুধুমাত্র ঘরে নয়, বরং সমুদ্রের ধারে, পার্কে, বাথটবের মতো বিভিন্ন জায়গায় সেক্স পজিশন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালবাসেন এই বয়সের মেয়েরা। এই বয়সটা বেশিরভাগ বিবাহিত নারীর মাতৃত্বের বয়স। ফলে এই বয়সে সেক্স নিয়ে তার অন্যরকমের উত্তেজনা থাকা স্বাভাবিক। তবে আর্লি প্রেগন্যান্সির ঘটনা ঘটলে সেক্সের চাহিদা কিছুটা কমে যায় এই বয়সে।

বয়স যখন ৪০
৪০ বা তার কাছাকাছি বয়সী পুরুষদের ক্ষেত্রে ইরেকশনে (একটি নিউরোভাস্কুলার প্রক্রিয়া, যার জন্য পুরুষাঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত ​​সরবরাহ হয়) সমস্যা খুব সাধারণ। কিন্তু এই বয়সী নারীদের সেক্সের চাহিদা থাকে অনেক বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় এর প্রমাণ পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এই বয়সী পুরুষরা পর্নে অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। অবশ্য নারীদের ক্ষেত্রে এটা একেবারে বিপরীত ঘটনা। ফলে কারোর যদি এর বিপরীত কোনও ধারণা এতদিন থাকে, তাহলে তা আরও একবার ভেবে দেখুন।

জানুয়ারি ১১.২০২৩ at ১০:৩৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর

আরো পড়ুন:
>শাহরুখ সালমান আমির: কে বেশি ধনী?
>পাঁচবিবিতে সংগ্রামী ভিক্ষুকদের মাঝে গ্রামীণ ব্যাংকের বিনামূলে কম্বল বিতরণ