গণঅবস্থান থেকে নতুন কর্মসূচি আসছে: লক্ষ্য বড় জমায়েত

ছবি- সংগৃহীত।

যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে বড় জমায়েতের লক্ষ্যে (১১ জানুয়ারি) বুধবার গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। (১১ জানুয়ারি) বুধবার ১০ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা এ গণঅবস্থান কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে সরব থাকবে দলটি।

ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ ৩৩ দিন কারাভোগের পরে দলীয় এ গণঅবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাস।

বিএনপির অন্য সিনিয়র নেতারা ১০টি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন। কেন্দ্র থেকে গঠিত বিভাগভিত্তিক সমন্বয় টিম সংশ্লিষ্ট বিভাগের কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও জেলা, মহানগর ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে- সিলেটে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রবিশালে সেলিমা রহমান, রংপুরে ইকবার হাসান মাহমুদ টুকু, কুমিল্লায় বরকতউল্লাহ বুলু, খুলনায় শামসুজ্জামন দুদু এবং ফরিদপুরে এডভোকেট আহমেদ আজম খান। বিএনপি ছাড়াও এদিন মাঠে থাকবে আরো ৩৩ রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং আরো ১৫টি সংগঠনও থাকবে।

সূত্র জানায়, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এড়াতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে না জামায়াতে ইসলামী। ‘কৌশলগত’ কারণে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন না করলেও ওয়ান-ইলেভেনের এই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করবে। দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনাসভা করবে।

আরো পড়ুন:
>২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার
>যশোর চেম্বার অব কমার্সের মামলার শুনানি আজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের পক্ষে আমরা ১০ দফা ঘোষণা করেছি। এসব দাবি আদায়ে যুগপৎভাবে আমরা রাজপথে নেমেছি। ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা রাজপথে থাকব। নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ন কর্মসূচিই আসছে। কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

বিএনপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হবে গণঅবস্থান কর্মসূচি। সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। শান্তিপূর্ণভাবে চার ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু এবং শেষ করব।

মাঠে থাকবে ৩৪ রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী পরিষদসহ আরো ১৫ সংগঠন : আজকের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মাঠে থাকবে। এছাড়া কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামও মাঠে থাকবে। পাশাপাশি থাকবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালক দলসহ ১৫টি সংগঠন।

আরো পড়ুন:
>২৭ দফাই হবে ভোটের ইশতেহার
>যশোর চেম্বার অব কমার্সের মামলার শুনানি আজ

গণঅবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় আকারে শোডাউনের প্রন্তুত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সব বিভাগীয় শহরে দলটি এ কর্মসূচি পালন করবে। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সরব থাকবে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। সূত্র- ভোরের কাগজ।

জানুয়ারি ১১.২০২৩ at ১০:২৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর