তৌহিদের ব্যাটে মাশরাফিদের হ্যাটট্রিক জয়

ছবি: সংগৃহীত

সেরা দুইয়ের তালিকায় ছিল না সিলেটের নাম। কিন্তু দেশের ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার ছোঁয়ায় সেই সিলেট যেন রূপকথা লিখছে। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দাপুটে শুরুর পর হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারায় সিলেট। এবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় উদ্‌যাপন করল মাশরাফীর সিলেট।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে কুমিল্লা। জবাবে ব্যাট হাতে কান্ডারির ভূমিকা পালন করেন তরুণ তৌহিদ হৃদয়। তাতে খুব সহজে কুমিল্লার বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় সিলেট।

আরো পড়ুন:
> মেক্সিকো সীমান্তে বাইডেন
> বেনাপোলে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ৯ আসামী গ্রেফতার

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি কুমিল্লা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। তবে ইংলিশ ব্যাটার ডেভিড মালানের ৩৭ রান এবং জাকের আলীর অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরিতে ১৪৯ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। দলীয় ৯ রানে শ্রীলঙ্কান পেসার থিসারা পেরেরার বলে মোহাম্মদ হারিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ৪ বলে দুটি চারের সাহায্যে ৮ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর সৈকত আলীকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন ইংলিশ ব্যাটার মালান। ২২ বলে ২৮ রান করা এই জুটি ভাঙেন ইমাদ ওয়াসিম। দলীয় ৩৭ রানে বোল্ডআউট হন সৈকত। তিনি ১২ বল থেকে করেন ২০ রান। এদিন ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। মাত্র ২ রান করে আমিরের বলে আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এ সময় এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন মালান। তবে তার ব্যাট থেকে ধীরগতিতে আসছিল রান। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৩৭ রান করে পেরেরার বলে আউট হন মালান।

ডেভিড মালান আউট হওয়ার আগে তরুণ জাকের আলীর সঙ্গে গড়েন গুরুত্বপূর্ণ ৫৩ রানের জুটি। আর জাকের এদিন পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৩ বলে ৫৭ রান করে কুমিল্লাকে শক্ত অবস্থানে নেন তিনি। ৫৭ রানের ইনিংসে জাকের দুটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। শেষদিকে এসে জাকেরকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ নবী। জাকেরের এই রানে ভর করে কুমিল্লা ১৫০ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেটকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে ধাক্কা খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি।

৬ রান করে আবু হায়দারের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। ব্যক্তিগত ১৯ রান করে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় স্ট্রাইকার্স বাহিনী। তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে জাকির হাসান দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তবে ১৮ বলে ৩০ রান করা মারকুটে এই জুটিকে থামান মোহাম্মদ নবী। ১০ বলে ২০ রান করা জাকির নবীর বলে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।

সিলেটের পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ৩৭ বলে ৫৬ রান করেন তৌহিদ। ৫৬ রান করতে তিনি তিনটি চার ও চারটি ছয় হাঁকিয়েছেন। তাতে ভর করে সিলেট পৌঁছে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। দলীয় ১২৭ রানে খুশদিল শাহর বলে তৌহিদ আউট হলে বাকি কাজ শেষ করেন মুশফিক। ব্যাট হাতে ২৫ বলে ২৮ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন সিলেটের এ উইকেটরক্ষক।

জানুয়ারি ০৯, ২০২৩ at ১৮:১০:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস