বিএনপি প্রাইম টার্গেট ছিল যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা: কাদের

ছবি- সংগৃহীত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৫ জানুয়ারি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধবিরোধী অপশক্তির হত্যা-ষড়যন্ত্র নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী, শান্তিকামী ও মুক্তিকামী বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় একটি স্মরণীয় দিন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বৈরশাসনের গর্ভে জন্ম নেয়া বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে। জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার পাশাপাশি উগ্রবাদকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিএনপি গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শ ও মূল্যবোধবিরোধী রীতিনীতিকে লালন-পালন করে আসছে।

অপরাজনীতি ও দুঃশাসনের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখ্যান করে। নিরঙ্কুশভাবে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পাশাপাশি রাজনীতির মাঠে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নিজেদের ভঙ্গুর অবস্থানের কারণে যে কোনো উপায়ে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রতিহত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তখন তাদের প্রাইম টার্গেট ছিল মানবতাবিরোধী ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা।

আরো পড়ুন:
>যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
>যশোরে জব্দকৃত মটর সাইকেল ছাড়াতে এসে, প্রতারক চক্র গ্রেফতার
>পাইকগাছা উপজেলায় সার্ভেয়ার সমবায় সমিতি লি. এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা নস্যাৎ করার জন্য তথাকথিত হরতাল-অবরোধ ও আন্দোলনের নামে সারা দেশে অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেশের জনগণকে জিম্মি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। দিনের পর দিন শত শত নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে গাছ কেটে রেখে জনগণের পথচলায় বাধা সৃষ্টি করে; বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে।

তিনি আরো বলেন, ৫ জানুয়ারি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কাছে গণতন্ত্রকামী মানুষের মাথানত না করার এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টির দিন। বাংলার অসম সাহসী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকারকে সন্ত্রাস ও নাশকতা দিয়ে আটকানো যায় না পুনরায় তা প্রমাণিত হয়। জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে হরতাল-অবরোধ, বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস কোনো কিছুতেই বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে পারেনি। জনগণ সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত রাখে। জনগণ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দেয়।

আরো পড়ুন:
>যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
>যশোরে জব্দকৃত মটর সাইকেল ছাড়াতে এসে, প্রতারক চক্র গ্রেফতার
>পাইকগাছা উপজেলায় সার্ভেয়ার সমবায় সমিতি লি. এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের গণতন্ত্রবিরোধী অপতৎপরতা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখার কারণেই আর্থ-সামাজিক সব সূচকেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নের পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।

জানুয়ারি ০৫.২০২৩ at ২১:৪২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর