যশোরে দুদিন সূর্যের দেখা নেই, শীতে কাঁপছে জেলার মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

টানা দুদিন যশোরে সূর্যের দেখা মেলেনি। কনকনে শীতে কাঁপছে জেলার মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন ব্পির্যস্ত। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন অনেকে।

যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার (৪ জানুয়ারি) যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের বেজপাড়া তালতলা এলাকার রিকশাচালক আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, গত তিন দিন ধরে যশোরে যে ঠান্ডা পড়ছে তাতে রিকশা চালাবার উপায় নেই। এরই মধ্যে রিকশা চালিয়ে ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়েছি। তবে ঘরে শুয়ে থাকলে তো আর পেটে ভাত জুটবে না। বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।

শহরের কাজীপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ সকাল থেকে যে কুয়াশা পড়েছে এবং যে শৈত্যপ্রবাহ বইছে তাতে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে বের হতে ভাবতে হচ্ছে। ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাঁচি-কাশিসহ কোল্ড ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতের কারণে সারাদিনই গরম পোশাক পরে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

যশোর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্দ পাওয়া ৪৯ হাজার পিস কম্বল জেলার আট উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে আবার বিতরণ করা হবে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুস সামাদ বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীর চাপ থাকলেও হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।

আরো পড়ুন:
> যশোরে ইয়াবাসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব
> যশোরে ভুয়া রশিদ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে একজন গ্রেফতার

জানুয়ারি ০৪, ২০২৩ at ২১:২৯:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস