রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি

ছবি- সংগৃহীত।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজস্ব জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার রক্ষার্থে ও বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায় তাদের মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন জরুরি। সম্প্রতি ওআইসি পিইউআইসির প্রতিনিধি দল সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গেছেন যা তারা রিপোর্ট আকারে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য কনফারেন্সে উপস্থাপন করবেন। এসময় রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে এপিপিজি অন বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ইউকে অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) অন বাংলাদেশের সভাপতি রুশনারা আলী এমপির নেতৃত্বে এপিপিজি অন বাংলাদেশের সদস্য জনি রিনল্ডস এমপি, মোহাম্মদ ইয়াসিন এমপি, টম হান্ট এমপি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন সৌজন্য সাক্ষাতকালে এই আহ্বান জানান তিনি।

সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের চলমান অভূতপূর্ব উন্নয়ন, বাংলাদেশে বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, নারীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীশিক্ষার দৃশ্যমান অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আরো বলেন, ‘২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন শুরু হলে দফায় দফায় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্রয় দেন।

আরো পড়ুন:
>ফরিদপুরে সন্তানের বিরুদ্ধে পিতার মানববন্ধন
>দেশে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১০০ কোটি টাকার সুপারি রপ্তানি
>শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে

আয়তনে ক্ষুদ্র ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ার পরেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারে আশ্রয় দেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সহায়তায় তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরকার নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করেছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশ সফররত ওআইসি পিইউআইসির প্রতিনিধিদলের সভাপতি প্রফেসর ড. ওরহান আটালে বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে মুসলিম মাইনরিটি ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের মানবাধিকার সংরক্ষণে ওআইসি পিইউআইসি কাজ করছে। কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে প্রতিনিধিদল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।পিইউআইসি সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ খৌরাইচি নিয়াজ বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বে রোহিঙ্গা ইস্যু বর্তমানে একটি আলোচিত ও মানবিক বিষয়। ওআইসি পিইউআইসি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সব রকম মানবাধিকার বিষয়ে সোচ্চার।

রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বৈশ্বিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিল সমস্যা সমাধানে তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে অবহিত করেন তিনি। ইরানের সংসদ সদস্য আবুলফজল আমই বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, তা দৃষ্টান্তমূলক। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া তাদের মানবাধিকার।

আরো পড়ুন:
>ফরিদপুরে সন্তানের বিরুদ্ধে পিতার মানববন্ধন
>দেশে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১০০ কোটি টাকার সুপারি রপ্তানি
>শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিদর্শন করে তাদের যথাযথ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘পিইউআইসি প্রতিনিধিদলের এই সফরের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা উৎসাহ পাবে। আর প্রতিনিধিদলের রিপোর্ট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।

জানুয়ারি ০৩.২০২৩ at ২১:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর