ভূঞাপুরের সড়কে বালুবাহী ড্রামট্রাকগুলো যেন মরণফাঁদ

ড্রামট্রাকের দখলে এখন বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এই মহাসড়কটি জন গুরুত্বপূর্ণ। এই মহাসড়কে প্রতিনিয়ত শত শত বালুভর্তি ড্রাম ট্রাক সহ অন্যান্য বালুবাহী ট্রাকের দখলে রয়েছে সড়কগুলো। ফলে প্রতিনিয়ত পোহাতে হচ্ছে চরম জনদুর্ভোগ। শুধু তাই নয়, অবৈধভাবে যত্রতত্র অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক ও হেলপাররা বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানোর কারণে সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত হচ্ছে প্রাণহানি। অনেক ড্রাম ট্রাকের নম্বর না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে গাড়ি নিয়ে চালক ও হেলপাররা পালিয়ে যাওয়ায় ঘাতকদের সনাক্ত করতে সম্ভব হচ্ছে না।

স্থানীয়রা জানান বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে গোবিন্দাসী হয়ে ভুয়াপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মহাসড়কের কমপক্ষে প্রায় ১৫/২০ টি বালুরঘাট রয়েছে । এসব সড়কে গত দুই মাসে প্রায় কমপক্ষে ১০ /১২ টি স্থানে দুর্ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে জিগাতলা বালুরঘাটের প্রবেশপথ এলাকায় গত কয়েকদিন আগে এক ঘন্টার ব্যবধানে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ১০-১৫টি মোটরসাইকেল। এর আরোহীরা প্রায় সবাই কমবেশি আহত হয়। এর কয়েকদিন আগে তারাকান্দি মহাসড়কে জগৎপুরা এলাকায় ড্রামটাকের ধাক্কায় ইশরাক নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী প্রাণহানি ঘটে। ওই দুর্ঘটনায় তার বাবা সাইদ সহ আহত হন আরো দুইজন।

আরো পড়ুন :
>পত্নীতলায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মতবিনিময়
>চৌগাছা প্রতিভা এডাস স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা জানান, বালুবাহী ট্রাকের কারণে যানজটের কবলে পড়তে হয়। যত্রতত্র বালু বাহি ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলাবালি চোখে মুখে এবং পুরো শরীরের লেগে কাপড় চোপড় নোংরা হয়ে যায়। বালু ব্যবসায়ীরা কখনো রাস্তায় ধুলা রোধে পানিও ছিটায় না। এছাড়া বেশিরভাগ ট্রাকে ত্রিপল ব্যবহার করেনা। ধুলার কারণে চলাচলে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে শ্বাসকষ্ট ভুগতে হয় । এই সড়কগুলো যেন এখন মরণফাদে পরিণত হয়েছে।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন জানান, সড়কে অবৈধ ড্রাম ট্রাক সহ অন্যান্য ট্রাক চলাচলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এই নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করা হয়েছে। এবং ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ডিসেম্বর ৩১.২০২২ at ১৮:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মহম/এমএইচ