মাত্র ১২৬ দিনে হাফেজ হয়ে আলোচনায় শিবগঞ্জের তাবাস্সুম

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার আমতলী বন্দরে অবস্থিত ইসলাহুল উম্মাহ মাদ্রাসার নারী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারের মেধাবী সন্তান হাফেজা তাবাস্সুমকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টায় মাদ্রাসা চত্বরে এ উপলক্ষে বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব মোজাহার আলী শেখ এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শহীদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুহাম্মাদ উমর ফারুক, ইউপি সদস্য আব্দুল হাকিম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক সামছুল আলম শেখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুমন শেখ, মাওঃ মোজাফ্ফর হোসেন, আই.ইউ.এম এর পরিচালক আবু হানিফ, স্বাস্থ্য সহকারী মেহেদী হাসান, সামছুল আলম শেখ, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওঃ ওবায়দুর রহমান, মমতা বেগম, মিজানুর রহমান, মৌসুমী বেগম, শামীমা আকতার, রেশমা খাতুন, সোহানা খাতুন, রিতা আকতার, জাহিদুল ইসলাম, শিউলী বেগম, শরিফুল ইসলাম, আনাস মাহমুদ, সাদিয়া আফরিন, রিডু আক্তার, আতিকুর রহমান, শারমীন আক্তার প্রমুখ।

আরো পড়ুন :
>দুইদিনেও উদ্ধার হয়নি ১১ লাখ লিটার ডিজেল বোঝাই ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ
>আজ মঙ্গলবার হতে শুরু চৌগাছার পৌষ কালি পূজা ও সম্প্রিতি মেলা
>যশোরে জেলি পুশ করা ৬০০ কেজি চিংড়ি জব্দের পর ধ্বংস

মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সনে ১৮জন শিক্ষার্থী ও ৬জন শিক্ষক নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানের সু-নাম সুখ্যাতি অত্র উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে ৭ বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা বর্তমানে ৪ শতাধিক এবং শিক্ষকের সংখ্যা ২৩ জন। এক মাদ্রাসায় সব পড়া, লক্ষ্য ভালো মানুষ গড়া শ্লোগানে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটিতে প্লে গ্রুপ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত আবাসিক অনাবাসিক ও হেফজ বিভাগে পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুহাম্মাদ উমর ফারুক বলেন, দ্বীনি শিক্ষা ও সহ শিক্ষাকে সমন্বয় করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। শিক্ষক ও উস্তাদদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান অবস্থায় এসে দাড়িয়েছে। ১২৬ দিনে তাবাস্সুম হাফেজা হয়েছেন। যা উত্তরবঙ্গের মধ্যে এই প্রথম। পরে রাতে অত্র প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ডিসেম্বর ২৬.২০২২ at ১৮:২১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর