চরফ্যাশনে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্ত্রীকে খুন, আটক দুই

ভোলার চরফ্যাশনে জমি বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের অনুসারীর স্ত্রীকে খুন করার ইউনিয়ন পরিষদের এক মেম্বার। গত ২৯ নভেম্বর ঢাকা থেকে আনা ভাড়াাটিয়া কিলাল দিয়ে মুজিব নগর ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল মালেক এ খুনের ঘটনা ঘটান। স্ত্রী মুকুল বেগম খুনের ২৫ দিন পর শনিবার পুলিশ অভিযুক্ত আবদুল মালেক মেম্বার ও তার সহযোগি আবদুল মান্নানকে গ্রেপ্তারের পর এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে। খুনের সাথে জড়িত বাকীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধায় ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম নিজ কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান। পুলিশ সুপার বলেন, চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের শিকদার চরে জমি নিয়ে আবদুল মালেক ও আসলাম গ্রæপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ইউপি মেম্বার আবদুল মালেক তার অনুসারী মো. বাচ্চু মেলকারের স্ত্রী মুকুল বেগমকে খুন করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার ট্রাক ড্রাইভার ইব্রাহিমকে ১০ একর জমি দেয়ার চুক্তিতে তাকে ভাড়া করা হয়।

আরো পড়ুন:
>ভোলার মেঘনায় ১১ লাখ লিটার অকটেন-ডিজেল নিয়ে কার্গো জাহাজ ডুবি
>তিক্ততা ভুলে মিরাজকে জার্সি উপহার দিলেন কোহলি
>পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, চরম ভোগান্তিতে ব্যাবসায়ী ও ক্রেতারা

চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর রাতে ট্রলারযোগে আবদুল মালেকের অনুসারী জসিম, আবদুল মান্নান, রফিক ও ভাড়াটিয়া খুনি ইব্রাহিম ওই চরে গিয়ে মুকুল বেগমকে খুন করে। ইব্রাহিম ও আবদুল মান্নান সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় এবং বাকীরা তাদের সহযোগিতা করে। ঘটনার রাতে নিহত মুকুল বেগমের স্বামী মো. বাচ্চু মেলকারকে জেলা সদরে মামলার হাজিরা দেওয়ার মিথ্যা কথা বলে আবদুল মালেক মেম্বার তার বাড়িতে আটকে রাখেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায় হত্যাকারীরা মুকুল বেগমকে খুন করে। নিহত মুকুলের সাথে থাকা তার বোন বকুল বেগমকে হত্যার জন্য আঘাত করে কিন্তু সে বেঁচে যায়। দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছে। বাদী জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

ডিসেম্বর ২৫.২০২২ at ১৭:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর