৩০ বছর যাবৎ মিজানের গ্যারেজ এলাকায় চলছে লাইলির দেহ ব্যবসা 

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষিণখানের মিজানের গ্যারেজ এলাকায় ত্রিশ বৎসর যাবৎ দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন লাইলী বেগম। এই ব্যবসায় তাকে সহযোগিতা করে আসছেন তার বোন শিল্পী আক্তার (৩০)।থানা এলাকার মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে কিভাবে তিনি এই ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এটাই জানার বিষয়। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে মতে স্থানীয় হাওয়ায় তার ইচ্ছামত সে ১৬ বছর বয়স থেকেই চালিয়ে আসছেন এই ব্যবসা। ৬৫ বছর বয়সী এই মহিলার বর্তমানে খদ্দেরের চাহিদা কম থাকায় বাহির থেকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উঠতি বয়সী মেয়েদের কে নিয়ে এসে তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারচে।

মিজানের গ্যারেজ এলাকায় লাইলির বাড়ি বললেই যে কোন লোক দেদারছে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। অন্যদিকে সন্ধ্যা নামলেই তার বোন শিল্পী মাদকের মেলা বসান। মিজানের গ্যারেজ এলাকার ২৯০/২৯১ দাগ নাম্বারের ৩৩৭ নম্বর বাসা এলাকার গলির ভিতরে কে আসা যাওয়া করছে তার দেখভাল করার জন্য ও রয়েছে লোকজন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা বাসিরা বলেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে বৃদ্ধ আবাল বনিতা দূর-দূরান্ত থেকে লাইলির বাড়ির আশেপাশে আনাগোনা করতে দেখা যায়।

আরো পড়ুন:
> ক্ষেতলালে স্বাধীনতার ৫১ বছরেও স্বীকৃতি পায়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার
> কাজিপুরে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার তিন মাদক কারবারি

আশেপাশে বাড়ীওয়ালা এবং কমিউনিটি পুলিশের অনেক সদস্যই জানান যে একাধিকবার থানায় অভিযোগ করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করানো হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে তারা আবার বেরিয়ে এসে একই ব্যবসায় লিপ্ত হন। রুবিনা নামের জনৈক মহিলা জানান থানা পুলিশের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সিভিলে তার বাড়িতে আসতে দেখা যায় কি কারণে তারা আসেন বাকি করতে আসেন এ ব্যাপারে আমরা সঠিক কিছু বলতে পারিনা। ঘটনাস্থলটি ঢাকা মহানগরে ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৭নং ওয়ার্ডের আওতাধীন হওয়ায় কাউন্সিলর মোতালেব মিয়ার সাথে টেলিফোনে কথা বললে তিনি বলেন একাধিকবার পুলিশ দিয়ে অভিযান চালিয়েও তাদেরকে এই ব্যবসা থেকে বিরত করা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসী বলেন উত্তরার বড় বড় সাংবাদিকদের বসবাস এই এলাকায় তথাপিও কখনো কোন সময় তাদেরকে দেখা যাচ্ছেনা এর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে এর কারন কি আমরা বুঝতে পারছি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক. সিনিয়র সাংবাদিক বলেন এদের বিরুদ্ধে একাধিকবার থানা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও দৈব কারণে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।

মিজানের গ্যারেজ এলাকার শিক্ষিত সচেতন নাগরিকদের দাবি বর্তমান দক্ষিনখান থানা ওসি জাহাঙ্গীর সাহেব যদি কঠোর হস্তে এই ব্যবসাকে দমন করতেন তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হতাম। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লাইলি বেগমের বাসায় গিয়ে তার সাথে কথা বলতে চাইলে উক্ত প্রতিবেদককে সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং হাতে তজবি নিয়ে গুনতে গুনতে বলেন আমার কি আর এখন সেই বয়স আছে। তবে সরেজমিন উক্ত গলিতে গিয়ে সন্ধার পরে দেখা যায় যে কিছু বখাটে যুবক মাদক সেবন করছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২২ at ১৬:২৯:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস