প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ হবে স্মার্ট, উন্নত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ। যেটা জাতির পিতা চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমির শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে, সকালে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চট্টগ্রামের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই অনুষ্ঠানে সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর কোনো সরকারই সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি বা এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমঝোতা করে সমুদ্রসীমায় অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
তিনি আরও বলেন, নৌবাহিনীকে আধুনিক সরঞ্জাম দিয়েই আমি সজ্জিত করতে চাই এবং প্রশিক্ষণকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। প্রশিক্ষণের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নও আমরা আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের নৌবাহিনী গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। অর্থাৎ শান্তির সংস্কৃতি আমরা যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলাম, সেটা পাস হয়েছে।
আরো পড়ুন :
>পাঁচবিবিতে পরিত্যক্ত জমিতে ফসল চাষে সফল কৃষক সিরাজুল
>কল্যাণশ্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের দোয়া ও বিদায় অনুষ্ঠান
>দলকে ৩৯ রানে বসিয়ে ফিরে গেলেন দুই ওপেনার জাকির-শান্ত
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নৌবাহিনীকে আমরা যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছি। যেমন ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে আমরা যে টানেল নির্মাণ করছি, এই বঙ্গবন্ধু টানেলের নিরাপত্তার দায়িত্বটা সম্পূর্ণভাবে নৌবাহিনীর হাতেই দেয়া হয়েছে। কারণ এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা। আর দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এ ধরনের টানেল নির্মিত হচ্ছে। তাছাড়া, আমাদের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল, যেখানে কোনো নৌ-ঘাঁটি ছিলো না, সেখানেও শেরে বাংলা নৌ-ঘাঁটি নির্মাণকাজও এগিয়ে চলেছে।
ডিসেম্বর ২২.২০২২ at ১৪:১৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর