গাবতলীতে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে আদালতে মামলা

বগুড়া গাবতলীর উজগ্রাম পিন্টু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণীর তিনজন কর্মচারী নিয়োগে বানিজ্য করার অভিযোগে ৮জনকে অভিযুক্ত করে জেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার রোমান মিয়া বাদী গত ১৮মে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন মামলায় অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার নিজেই। জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণপাড়া ইউনিয়নের উজগ্রাম পিন্টু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় একটি প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এই বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ৫’শ জন এবং শিক্ষক-কর্মচারী ১৫জন। এই বিদ্যালয়ে ১জন নিরাপত্তা কর্মী, ১জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং ১জন নৈশ্য প্রহরী পদে নিয়োগদানের জন্য ২০২১সালের ১০সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সকল শর্ত মেনে পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে উজগ্রাম মুন্নিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রোমান মিয়াসহ মোট ৫জন প্রার্থী গত ১৮এপ্রিলে চাকুরীর জন্য আবেদন করে বগুড়া ভিএম স্কুলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

কিন্তু ১২লাখ টাকার বিনিময়ে আজমল হাদি নামের একজনকে নিয়োগপত্র প্রদান করেন বলে মামলা উল্লেখ রয়েছে। আরও উল্লেখ রয়েছে গত ২০এপ্রিল-২০২২ তারিখে ৪র্থ শ্রেণীর ওই তিনজন কর্মচারীকে নিয়োগ প্রদান করেন। এ ঘটনায় রোমান বাদী হয়ে গত ১৮মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনারুল ইসলাম, কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সাইফুল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, জেলা শিক্ষা অফিসার, ভিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিদর্শক।

আরো পড়ুন :
>তাহিরপুরে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ  
>সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১১ জেলে উদ্ধার
>লালপুরে ৪৪তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং নিয়োগ পাওয়া পরিচ্ছন্ন কর্মী আজমল হাদিসহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে বগুড়ার জেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার উপ-পরিচালক মামলায় ৪নং অভিযুক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলীকে তদন্তের দায়িত্ব দিলে তিনি গত ১৯ডিসেম্বরে জেলা শিক্ষা অফিসার সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে শুধুমাত্র বাদীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, নিয়োগের সকল নিয়মনীতি মেনেই নিয়োগ কমিটি ওই তিনজনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলার বাদী রোমান মিয়া বলেন, এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে উজগ্রাম পিন্টু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আবারও নিয়োগ পরিক্ষার দাবী করেন।

ডিসেম্বর ২১.২০২২ at ১৮:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর