ঘুষ না দেয়ায় সেচ সংযোগ দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ

কুড়িগ্রামের চিলমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মোঃ মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে এক গ্রাহককের ভাইকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেচ সংযোগের দাবিকৃত ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় মো. ফজলুল হক নামে ওই গ্রাহককের ভাইকে লাঞ্চিত করা হয় মর্মে তিনি পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিস চিলমারী’র ডিজিএম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিস চিলমারী’র আওতায় কাশিম বাজার লখিয়ার পাড়া এলাকার মো. ফিরোজ মিয়া নামে এক গ্রাহক সেচ সংযোগের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে চিলমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মো. মোক্তার হোসেন কৌশলে ওই গ্রাহকের বড় ভাই ফজুলল হকের সাথে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন। তার দাবিকৃত টাকার মধ্যে ১১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সেচ সংযোগের লাইসেন্স নং-১৬১৯। গত-২৪ অক্টোবর সেচ সংযোগের জন্য ১১৫ টাকা ফিস জমা দেন।

এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও চুক্তি মোতাবেক উৎকোচের টাকা না দেয়ায় সংযোগ প্রদান করা হয়নি। এ নিয়ে গত-২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার চিলমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মো. মোক্তার হোসেনের সাথে অফিসে দেখা করেন ওই গ্রাহকের বড় ভাই ফজলুল হক। এ সময় বাকি টাকা না দেয়া পর্যন্ত সংযোগ দেয়া হবে না মর্মে জানালে কথা কাটাকাটি হয়।

আরো পড়ুন :
স্টোকসকে পেছনে ফেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে তিনে উঠেছে সাকিব
পাইকগাছায় ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

এর এক পর্যায়ে তিনি ফজলুল হককে কিলঘুষি মারেন।অভিযোগকারী মো. ফজলুল হক বলেন, ফিরোজ তার আপন ছোট ভাই। সেচ সংযোগের তার ছোট ভাইয়ের নাম থাকলেও তিনিই সব কাজ করছেন। এ ঘটনায় তিনি ওই প্রকৌশলীর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন। চিলমারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মো. মোক্তার হোসেন উৎকোচের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সংযোগ দিতে দেরি হওয়ায় ফিরোজ মিয়ার বড় ভাই অফিসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

এমনকি আমাকে মারতে আসেন। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিস চিলমারী’র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ডিসেম্বর ২১.২০২২ at ১৮:১১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর