চৌগাছার ৪ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচ্ছন্নতাসহ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় খরচ কোটি টাকা, জানেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ!

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন ৪ সাব-সেন্টারের পরিচ্ছন্নতার বিল বাবদ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ৬ লক্ষ ১১ হাজার ৭৬০ টাকা আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৯৮০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে বিষয়টি জানেন না সাব সেন্টারের কর্মরত কর্মকর্তাগণ। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি ভূয়া বিল ভাউচারে এ বিপুল পরিমান অর্থ উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের অভ্যন্তরে সাব-সেন্টারের পরিচ্ছন্নতার বিল বাবদ ২০২১-২০২২ অর্থবছরের হাসপাতালের অভ্যন্তরে পাশাপোল, জগদীশপুর, নারায়ণপুর, সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪টি সাব-সেন্টারের ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ এ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা। জুন মাসের ২৬ তারিখে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৪৯ হাজার ৯২০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮৫৪৫)।

এরপর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা। একই মাসে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা। ২০২২ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার টাকা।

আরো পড়ুন:
> আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করে, বিএনপি করে অপপ্রচার
> যশোর পরিবেশ অধিদপ্তরে নানামুখী কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ

২০২২ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পিট নির্মাণে আপ্যায়ন বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০টাকা। একই তারিখে পিট নির্মাণে ৩টি সাউন্ড সিস্টেমের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৩ হাজার টাকা, ৩টি ফটোকপি বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৩ হাজার টাকা, ৩টি সভার ব্যানার তৈরি করতে খরচ দেখানো হয়েছে ৪০০০ হাজার টাকা।

তবে বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, পিট নির্মাণে, ফটোকপি, ব্যানার তৈরি বাস্তবে কোনো কাজের হদিস মেলেনি। ভুয়া বিল ভাউচার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এদিকে, ২০২২ সালের জুন মাসের ২৫ তারিখে হাসপাতালের অভ্যন্তরের ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৮০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮০৭৫), একই মাসে ২৭ তারিখে খরচ দেখানো হয়েছে ৫১ হাজার ৬০০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮৫৬০)।

তবে, ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারগণ আমাদের তিনিধিকে বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কোনো বরাদ্দ আমাদের দেওয়া হয়নি। কোনো বিলও আমরা জমা দেয়নি। কোনো টাকাও উত্তোলন করিনি।

এব্যাপারে পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি বলেন, এ সকল বিষয়ে আমি কাগজপত্র না দেখে এখনি কিছু বলতে পারবো না। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

ডিসেম্বর ২০, ২০২২ at ২০:৩৯:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস