চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি দুর্নীতির চাদরে মুড়িয়ে রেখেছে ডাঃ লুৎফুন্নাহার

যশোরের চৌগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যোগদানের পর থেকেই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে নানাভাবে ভুয়া বিল ভাউচার করে অর্থ লোপাট করে চলেছেন। ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারির কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়, কর্মচারীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ, কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীদের অর্থ আত্মসাৎ, আপ্যায়নের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, খাবার সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ এবং ট্রেনিংয়ের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগও রয়েছে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাকি মেডিসিন সাপ্লাই বৈকালীর স্বত্বাধিকারী আ. রশিদ অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চৌগাছা যশোরে গত ২০২১-২০২২ অর্থ বৎসরে (এমএসআর) ৪৬ লাখ টাকার ওষুধ সরবরাহের কাজের চেক আনতে গেলে আমার কাছে ৫% অর্থাৎ ২ লাখ আশি হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। পরে তার চাহিদা মোতাবেক টাকা দিয়ে চেক নিয়ে আসি। এমনকি কার্যাদেশের বিপরীতে কার্য সম্পাদন জামানত ফেরত চেয়ে আবেদন করে লোক পাঠালে তার কাছেও অবৈধ টাকা দাবি করেন এবং এক বছরের আগে জামানত ফেরত দেয়া যাবে না বলে জানান।

আরো পড়ুন:
> হিজাবে পূজা, নেটদুনিয়া উত্তাল
> পাবনায় বিশ্বকাপ চলাকালে যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত

কিন্তু দরপত্র ক্রয়ের শর্তাবলীর ১৩ নম্বরে বলা হয়েছে নির্ধারিত অর্থবছরে কার্যাদেশ অনুযায়ী মালামাল সন্তোষজনকভাবে সরবরাহের পরপরই কার্য সম্পাদনের জামানতের টাকা আবেদন সাপেক্ষে ফেরত দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে চৌগাছা হাসপাতালে ওষুধপত্র (ইউসিএল বহির্ভুত), মালামাল সরবরাহের কার্যাদেশ পান মজুমদার ট্রেড কর্পোরেশন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নামে ৭টি বিল ভাউচারে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ২শ’ টাকার বিল-ভাউচার জমা দেন হিসাবরক্ষণ অফিসে। একই সাথে বিলের সমস্ত টাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে ব্যক্তিগত একাউন্টে প্রদানের জন্য সুপারিশ করেন। বিলগুলো জমাদানের পর হিসাবরক্ষণ অফিসার ইউনুচ আলীর নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সকল বিল ভাউচার প্রাথমিক যাচাই করে নিশ্চিত হন যে, বিল দাখিলের ত্রুটি রয়েছে। একই সাথে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাদে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামে বিল ছাড় করা নিয়ম বহির্ভূত। এই অবস্থায় জমাকৃত বিল-ভাউচার ত্রুটিযুক্ত সন্দেহ হবার কারণে তিনি বিলগুলো ছাড় করা থেকে বিরত থাকেন। একই সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার ইউনুস আলী।

ছবি: সংগৃহীত

কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচির ১১টি ইউনিয়ন টিকা দানের কর্মসূচিতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের সম্মানি টাকা, প্রত্যেক কর্মসূচিতে লোকবল ছিল প্রতিকেন্দ্রে ২ জন করে টিকাদান কর্মী এবং ১০১টি ওয়ার্ডে ৩জন করে স্বেচ্ছাসেবী যার অনুকূলে বরাদ্দ লাখ লাখ টাকা টিকাদান কর্মীদের না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিরতিহীনভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে করোনার টিকা দিয়ে যাচ্ছেন। এই সময়ে সকল ইউনিয়নে ও ওয়ার্ডভিত্তিক সকল টিকা দিবসে টিকা প্রদান করেছেন। হাসপাতালের সূত্র মতে, সহকারী পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা তাসলিমা খাতুন, কোহিনুর আক্তার, লুৎফুন্নেসা ও একাধিক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক কর্মীরা জানান, হাসপাতালের ২০ জন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ২৭ জন সহকারী পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা, টিকাদান কর্মীরা ও স্বেচ্ছাসেবীরা ২০২১ সালের ৭ আগস্ট থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ২৬ দিন কাজ করেন।

কিন্তু ২০২১ সালে ৭ আগস্ট থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকাদানের কাজ করলেও স্বাস্থ্যকর্মীদের ২৬ দিনের কোনো টাকা দেয়া হয়নি বরং সকল সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক (এএইচআই) ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা টিকাদান কর্মীদের তার রুমে ডেকে নিয়ে ৮০০০ টাকার ও ২০০০ টাকার রেভিনিউ স্ট্যাম্পের বিলে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। সবগুলো বিলের কাগজপত্র (ইউএইচএফপিও) কাছে আছে। কোনো বিলই এখন পর্যন্ত কাউকে দেননি। টিকাদানকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, চলতি বছরের প্রতিদিন প্রতিটি টিকাদানকর্মীদের সম্মানী ভাতা ৫০০ টাকার স্থলে ৩৯০ টাকা করে দেন। যদিও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী টিকাদানকর্মীদের সম্মানী ভাতা বাবদ ৫০০ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও সিভিল সার্জনকে দিতে হবে বলে ১১০ টাকা করে কেটে রাখেন (ইউএইচএফপিও)। এর প্রতিবাদ করলে টিকাদান কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। টিকাদানকর্মীরা আরও জানান, প্রত্যেকটি টিকা দিবসে আপ্যায়নের জন্য নাস্তার বরাদ্দ থাকলেও টিকাদান কর্মীদের নাস্তা না দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

আরো পড়ুন:
> বিএনপির ২৭ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে
> ৮ বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের হাসপাতালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বিল বেনামে উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের হাসপাতালের অভ্যন্তরে সাব-সেন্টারের পরিচ্ছন্নতার বিল বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের হাসপাতালের অভ্যন্তরে পাশাপোল, জগদীশপুর, নারায়ণপুর, সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের ৪টি সাব-সেন্টারের ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ এ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৯৯ হাজার ৮৪০ টাকা। জুন মাসের ২৬ তারিখে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৪৯ হাজার ৯২০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮৫৪৫)।

ছবি: সংগৃহীত

তবে ৪টি সাব-সেন্টারের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী, আল আমিন, মহিবুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুন বলেন, ২০২১ সালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ কোনো টাকা আমাদের প্রদান করা হয়নি। কোনো টাকাও উত্তোলন করিনি। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬০০ টাকা। একই মাসে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা। ২০২২ সালের জুন মাসের ২৬ তারিখে হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৬২০০০ হাজার টাকা। ২০২২ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পিট নির্মাণে আপ্যায়ন বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭৫০টাকা। একই তারিখে পিট নির্মাণে ৩টি সাউন্ড সিস্টেমের জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৩০০০ হাজার টাকা, ৩টি ফটোকপি বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৩০০০ হাজার টাকা, ৩টি সভার ব্যানার তৈরি করতে খরচ দেখানো হয়েছে ৪০০০ হাজার টাকা। সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, পিট নির্মাণে, ফটোকপি, ব্যানার তৈরি বাস্তবে এ সমস্ত কোনো কাজের হদিস মেলেনি। ভুয়া বিল ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসের ২৫ তারিখে হাসপাতালের অভ্যন্তরে ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য খরচ দেখানো হয়েছে ৬,৪৬,৩৮০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮০৭৫), একই মাসে ২৭ তারিখে খরচ দেখানো হয়েছে ৫১ হাজার ৬০০ টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮৫৬০)।

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ২০২২ সালের হাসপাতালের অভ্যন্তরে ৪টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা প্রতিনিধিকে বলেন, চলতি বছরে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কোনো বরাদ্দ আমাদের দেওয়া হয় নি। কোনো বিলও আমরা জমা দেয়নি। কোনো টাকাও উত্তোলন করিনি। এছাড়া ২০২২ সালের জুন মাসের ২৮ তারিখে কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচিতে প্রতি ইউনিয়নে মাইকে প্রচার বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ৩৩০০০ হাজার টাকা (যার রেজিঃ নং ২৮৬৪৬)। তবে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে টিকা দেয়ার জন্য মাইকে প্রচার করার কথা থাকলেও স্থানীয়রা বলেন টিকা দেওয়ার কথা এলাকার মসজিদের মাইকে বলেছে ফলে মাইকে প্রচারের হাজার হাজার টাকাও আত্মসাৎ করে (ইউএইচএফপিও)।

আরো পড়ুন:
> শেখ হাসিনাকে হটাতে ডান-বাম এক হয়েছে: কাদের
> অশ্লীল ভঙ্গিতে বিতর্কে জড়ালেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক

এছাড়াও ২০২২ সালের জুন মাসের ৩০ তারিখে কোভিড ১৯ টিকাদান কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকগনের সম্মানী বাবদ ৮ লাখ ৮২০০০ টাকা (যার রেজিঃ নং২৮৬৪৭) ভাউচার ব্যতিরেকে নিজে বিল প্রস্তুতপূর্বক উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এই অর্থ হাসপাতালের কোন স্টাফদের মাঝে প্রদান করা হয়নি বলে জানান কর্মচারীরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের ভর্তি রোগীরা তালিকা অনুযায়ী খাবার পান না। উন্নত মানের মাছ ও খাশির গোশতের পরিবর্তে নিম্ন মানের মাছ ও ব্রয়লার মুরগি দেয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা বলেন, শ্রান্তি বিনোদনের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাদ্দকৃত ভাতার অর্থ থেকেও সিভিল সার্জনকে দিতে হবে বলে ৩% কেটে নিয়েছেন। সরকারি কোনো নিয়ম না থাকলেও সিভিল সার্জনকে দিতে হবে বলে টাকা কেটে রেখেছেন (ইউএইচএফপিও)। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট সহকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের হাম নিরীক্ষণ ট্রেনিং বাবদ ৬০০ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও ৩০০ টাকার বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন। কিন্তু ৩০০ টাকার বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে নিলেও কোনো টাকা দেয়নি সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের (ইউএইচএফপিও)। এছাড়া প্রত্যেকটি ট্রেনিংয়ে ৬০০ টাকা করে একটি ব্যাগ দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও কমিশন না দিলে তিনি বিলে, স্বাক্ষর করেন না।

ডাঃ মোছাঃ লুৎফুন্নাহার

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, ওষুধ সরবরাহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লাকি মেডিসিন সাপ্লাইয়ের সত্ত্বাধিকারী আ. রশিদ আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। আমি অভিযোগটি ফরওয়ার্ডিং করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি এ সকল বিষয়ে বলেন, আমি কাগজপত্র না দেখে এখনি কিছু বলতে পারবো না। আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, চৌগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে এখনো লিখিতভাবে কিছু পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২২ at ১৯:০৭:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস