এলপিজি একশ’ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে যশোরে

এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির আগেই মাসের শুরুতেই যশোরে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে এখনো ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। অথচ গত অক্টোবর মাসে সংবাদ সম্মেলন করে গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলেছিলেন, দোকান থেকে কিনলে সরকার নির্ধারিত দামে পাওয়া যাবে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। বর্তমানে ব্যবসায়ীদের স্ববিরোধী কার্যক্রমে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

ডিসেম্বর মাসে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ টাকা, যা গত মাসে ছিল এক হাজার ২৫১ টাকা। নতুন দাম ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হয়েছে। অথচ যশোরের পালবাড়ি, গরিবশাহ সড়ক, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, জেলরোড, নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকায়। দোকান থেকে কিনলে এক হাজার ৩৫০ টাকা দাম রাখছেন বিক্রেতারা।

তবে, গত ১৮ অক্টোবর প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলেছিলেন, দোকান থেকে কিনলে সরকার নির্ধারিত দামে কিনতে পারবেন ক্রেতারা। বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার পৌঁছাতে দূরত্ব অনুযায়ী সার্ভিস চার্জসহ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দাম দিতে হবে। কিন্তু যশোরের গ্যাস ব্যবসায়ীরা দোকান থেকেই ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। আর বাসায় পৌঁছাতে অল্প দূরত্ব হলেও এক হাজার ৪০০ টাকা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

তবে, কোম্পানির দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা। গরিবশাহ মোড়ের এক ব্যবসায়ী বলেন, বসুন্ধরা, ওমেরাসহ প্রায়সব গ্যাসই তিনি এক হাজার ২৯০ থেকে এক হাজার ৩১০ টাকায় কিনছেন। তাহলে কীভাবে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করবেন। একারণে দোকান থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা, ক্রেতার বাড়ি পৌঁছালে এক হাজার ৪০০ টাকা রাখছেন তারা। কিন্তু এসব যুক্তি মানতে নারাজ ক্রেতারা। ক্ষোভের সুরে জেল রোডের বাসিন্দা সোহাগ হোসেন বলেন, প্রতি মাসেই গ্যাসের দাম বাড়ছে।

আরো পড়ুন:
করোনা টিকার ৪র্থ ডোজ শুরু হচ্ছে ২০ ডিসেম্বর
নবীগঞ্জে র‍্যাবের হাতে জামালপুরের প্রেমিক জুটি গ্রেফতার 
হ্যান্ডবলে চবিকে ৭ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইবি

বাজার খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। বিদ্যুৎ, গ্যাসের দামও বাড়ছে সমানতালে। এভাবে আর কতদিন। তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর সাথে সাথে ব্যবসায়ীরা বেশি দাম নেয়। অথচ কমলে ব্যবসায়ীদের ওই দাম নিতে কমপক্ষে ১০ দিন লেগে যায়। যশোরের বসুন্ধরা গ্যাসের ডিলার ভেরিয়েন্টের ম্যানেজার তন্ময় পাল বলেন, তারা কোম্পানির কাছ থেকে এক হাজার ৩১০ টাকায় ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার কিনছেন। এ কারণে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি কোনোভাবেই সম্ভব না। ক্রেতাদের মতোই তাদেরও প্রশ্ন, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কোম্পানি কীভাবে বেশি দামে বিক্রি করে। এছাড়া, লোড, আনলোডসহ অন্যান্য খরচের কারণে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করছে বলে জানান তিনি।

ডিসেম্বর ০৬.২০২২ at ১০:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/ এসআর