ঝিনাইদহে সাতটি ককটেল ও ৯টি পেট্রোল বোমা জব্দ

ঝিনাইদহের মহেশপুর, কালীগঞ্জ ও হরিণাকুন্ডু উপজেলা থেকে সাতটি ককটেল ও ৯টি পেট্রোল বোমা জব্দ করেছে পুলিশ। এদিকে কালীগঞ্জের বারোবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাতে পৃথক ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। বারোবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিসে বসে কয়েকজন আলোচনা করছিলাম। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, বারোবাজার ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন ছাত্রদল ও বিএনপির সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। এদিকে মহেশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন, রোববার ১১টার দিকে একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয় পৌর শহরের মহিলা কলেজপাড়ার একটি ঝোপের মধ্যে ককটেল সদৃশ্য বস্তু পড়ে আছে।

আরো পড়ুন:
>হরিণাকুন্ডুর মুন্সি মার্কেটে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের কিলিং মিশনে ব্যাবসায়ী নিহত 
>যশোরে প্রকাশ্য দিবালোকে অর্ধশত গাছ কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা
>বিশেষ অভিযানের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে গ্রেফতার ২৫৫

পুলিশ গিয়ে বাজারের ব্যাগ থেকে তিনটি ককটেল ও চারটি পেট্রোলবোমা জব্দ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। হরিণাকুন্ডুর বৈঠাপাড়া এলাকা থেকেও পরিত্যক্ত অবস্থায় বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের নামে মামলার বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ বলেন, ঢাকার সমাবেশ ব্যার্থ করতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতা হারানোর আতংকে দেশব্যাপী এই বোমা নাটক সাজানো হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।

ডিসেম্বর ০৫.২০২২ at ২০:২৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/ এসআর