হরিণাকুন্ডুর মুন্সি মার্কেটে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের কিলিং মিশনে ব্যাবসায়ী নিহত 

ঝিনাইদাহের হরিনাকুন্ডু শহরে প্রকাশ্যে হামিদুল ইসলাম জনি (২৮) নামে এক মোবাইল দোকানদার খুন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে দোকানের মধ্যে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জনি হরিণাকুন্ডু আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আতিয়ার রহমান মুন্সির ছেলে। নিহত’র ভাই রনি অভিযোগ করেন, “কিছুদিন আগে মোবাইল কেনা নিয়ে আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে অপুর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে আমার ভাইকে হত্যা করা হতে পারে।

অপু ও তার কয়েকজন বন্ধু এই কিলিং মিশনে অংশ নেয় বলে তারা জানতে পেরেছেন”। জনির আরেক ভাই কাব্বিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, “জোহরের নামাজ পড়ে তার ভাই দোকানে বসার পর অপুর নেতৃত্বে ৩/৪ জন মুখোশপরা যুবক তার ভাইকে দোকানের পেছনের কক্ষে নিয়ে হত্যা করে। সেখানে অপুর মোবাইলও পড়ে ছিল। তিনি জানান অপু বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের বাড়িতে উদ্দেশ্যহীন ভাবে যাতায়াত করছিল”। তাদের ভাষ্য হত্যার পর অপুর পিতা আফজাল হোসেন খবরটি তাদের বাড়িতে জানালে তারা হরেনাকুন্ডু শহরে এসে দেখেন হামিদুল ইসলাম জনির রক্তাক্ত মৃতদেহ দোকানের মধ্যে পড়ে আছে।

অপুই এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে পরিবারটির দাবী। এদিকে অপু এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, “সোমবার বিকালে তিনি ওই দোকানে মোবাইল মেরামতের জন্য যান। এ সময় মুখ বাধা ৩/৪ জন যুবক দোকানের মধ্যে প্রবেশ করে জনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ঘাতকরা তার হাতে ছুরিকাঘাত করে”। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন অপু বাড়ি ফেরার পর অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিল। বিষয়টি গ্রামবাসীর কাছেও সন্দেহজনক বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রতিবেশি দোকানদারা জানান, বেলা দুইটার পর যে কোন সময় হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে।

আরো পড়ুন:
>যশোরে প্রকাশ্য দিবালোকে অর্ধশত গাছ কেটে সাবাড় করেছে দুর্বৃত্তরা
>বিশেষ অভিযানের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে গ্রেফতার ২৫৫
>দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ, ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা

তাদের ভাষ্য জনির দোকানের সামনের অংশ দুপুরের পর খোলা থাকলেও জনিকে দেখা যায়নি। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তার লাশ দোকানের মধ্যে পড়ে থাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবেশি মেখলেছুর রহমান জানান, নিহত জনি পরহেজগার ও খুবই নম্র ভদ্র ছেলে হিসেবে গ্রামে পরিচিত। তার মৃত্যুতে গ্রামবাসি খুবই ব্যাথিত হয়েছে। এ বিষয়ে হরিনাকুন্ডু থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, হরিণাকুন্ডু শহরের প্রিয়নাথ স্কুলের সামনের একটি মার্কেটে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। জনির গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুতই হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এদিকে জনি হত্যাকান্ডের পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ডিসেম্বর ০৫.২০২২ at ২০:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/ এসআর