সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ছাড়া কিছু দিতে পারেনি বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী

ছবি- সংগৃহীত

সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ ছাড়া বিএনপি জাতিকে কিছু দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল, ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই জনগণ তাকে মেনে নেয়নি। ভোট চুরি করলে জনগণ মেনে নেয় না। ওরা ভোট চুরি করেই ক্ষমতায় আসতে চায়। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না। দীর্ঘদিন গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। বিমানবাহিনী-সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের মৌলবি সৈয়দকে তুলে নিয়ে দিনের পর দিন নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এ রকম আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ঠিক একইভাবে খালেদা জিয়াও তার আমলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। অনেক লাশ গুম করেছে। আমি তাদের সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে সার-ধানবীজ বিতরণ
কামরুল আহসান সরকার রাসেল কে নগর পিতা হিসেবে দেখতে চায় গাজীপুরবাসী

তিনি আরও বলেন, খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর এই চট্টগ্রামের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউই তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। সারা দেশেই এই তাণ্ডব চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ছাড়া অন্যকিছু দিতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় তারিখ, এজন্যই তারা ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বর নাকি তারা ঢাকা অচল করে দেবে।

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়। পরে তাদের হত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। এ কারণেই এই তারিখ বিএনপির এত প্রিয়। এর আগে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা শুরুর আগেই জনসভাস্থল নেতাকর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জনসভা প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকায়ও মানুষের ঢল নেমেছে। ঐতিহাসিক এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

আরো পড়ুন:
পাইকগাছায় বিনামূল্যে কৃষকের মাঝে সার-ধানবীজ বিতরণ
কামরুল আহসান সরকার রাসেল কে নগর পিতা হিসেবে দেখতে চায় গাজীপুরবাসী
নলছিটিতে বিএনপি ৭৯ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা
রাজাপুরে স্বামীর পরকিয়া প্রেমিকা নিয়ে স্ত্রীর উপরে হামলা

জনসভা মঞ্চে উঠে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর দোয়া ও মোনাজাত শেষে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন তিনি। চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করছেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করছেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনসভার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে। ৮৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ১৬০ মিটার লম্বা এই মঞ্চে একসঙ্গে ২০০ অতিথি বসার ব্যবস্থা রয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪.২০২২ at ১৭:৫১:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/ এমএইচ