ভোলায় ১৫ জেলে অপহরণ, মুক্তিপণে ছাড়া পেলেন ৯ জেলে, ৬ জেলের হদিস নেই

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদীতে অপহরণের শিকার ১৫ জেলের মধ্যে ৯ জেলেকে তাঁদের পরিবার মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়িয়ে এনেছে। ৬ জেলের কোন হদিস নেই। তারা কি অবস্থায় আছেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। মুক্তিপণে ছাড়া পাওয়া জেলে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জানান, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জেলেদের পরিবার জনপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা পাঠানোর পর তজুমদ্দিনের ৯ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারী ডাকাতদল। মুক্তিপণ পাঠানোর পরে ওই ৯ জেলেকে শুক্রবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি প‚র্ব মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা চরে ফেলে যায় ডাকাতদল।

আরো পড়ুন:
>ভোলায় তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যানসহ তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
>আগামীকাল যবিপ্রবিতে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী, উদ্বোধন করবেন নতুন একাডেমিক ভবন

তজুমদ্দিন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ ৯ জেলের মুক্তি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে জানান, জেলেদের দেওয়া তথ্যমতে তাঁরা ডাকাতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছেন। আড়তদার ও উদ্ধার জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের বেধড়ক পিটিয়ে ডাকাতেরা হাত-পা বেঁধে, না খাইয়ে ট্রলারের খোন্দলের অন্ধকার কক্ষে ফেলে রাখেন। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইলে ডাকাতদলের মুক্তিপণ বিনিময় চুক্তি হয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে চুক্তি মোতাবেক কেউ দিয়েছেন ৩০ হাজার, কেউ দিয়েছেন ৪০ হাজার টাকা।

মুক্তিপণ পাঠানোর পরে তাঁদের শুক্রবার রাতে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি প‚র্ব মেঘনার মাঝে জেগে ওঠা চরে ফেলে যায় ডাকাতদল। জেলেরা সেখান থেকে স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতায় আজ শনিবার ভোররাতে বাড়ি ফিরে আসেন। আড়তদারেরা জানান, অপহরণকারীদের মধ্যে রফিক মাঝি, পিচ্চি রুবেল, মো. শাহিন ও মো. নীরব নামের চারজন তাঁদের সঙ্গে মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করেছেন।

জেলে পরিবারগুলো ০১৮৭৭২৪৪৬৮৮, ০১৭৯১৬৬৯৯৯৫, ০১৭৫৮১১২৯৫৮, ০১৩১৫৩৯৪৬৫৯ এই চার মোবাইল নাম্বরে মুক্তিপণের এসব টাকা পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য-গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ভোররাত পর্যন্ত মেঘনা নদীর মাঝে জেগে ওঠা চর জহিরউদ্দিন ও চর মোজাম্মল এলাকার কাছে নদীতে ১৫টি মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতের কবলে পরে।

ডাকাতেরা ট্রলারে হামলা চালিয়ে, জেলেদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শতাধিক জেলেকে নদীতে ফেলে দেয়। এ সময় ট্রলারের জাল, মাছ, মোবাইল ও নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় ডাকাতদল। সে সময় মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে নিয়ে যায় ১৫ ট্রলারের ১৫ জন জেলেকে। প্রত্যেকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ডাকাতদল।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২২ at ২১:৫০:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস