যশোর মণিরামপুরে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

শোর মণিরামপুরে কোদলাপাড়ায় মেঘনা বেকারির মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গত ২-৩ দিনে অভিযান চালিয়ে খুলনার তেরখাদা, গোপালগঞ্জ ও মাদারিপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে ডিবি। বুধবার রাত ৯টার দিকে ডাকাতদের দুই জনকে সঙ্গে নিয়ে ডাকাতি হওয়া বাড়িতে যায় পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘটনাস্থলের ৩ কিলোমিটার দূরে টেংরামারী বিলের বকুলের মাছের ঘের থেকে ডাকাতি হওয়া দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়। এ সময় মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান, ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন, ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান, রেজাউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:
>জার্সি অবমাননা নিয়ে যা বললেন মেসি
>আজ থেকে শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

গ্রেফতার ৮ ডাকাতের মধ্যে ৫ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ঢাকার মিন্টু, মাদারিপুরের লিটন, খুলনার কালু, ঝিনাইদহের কবির ও গোপালগঞ্জের ভ্যান চালক সুরুজ। গ্রেফতার লিটন স্বীকার করেছেন, একটি চুরির মামলায় তিনি মাদারিপুর জেলে ছিলেন। সেখানে ডাকাতদের একে অপরের পরিচয় হয়। এরপর বাইরে এসে ডাকাতির পরিকল্পনা করি। একপর্যায়ে যশোর রেল স্টেশন এলাকার ভ্যান চালক সুরুজের সাথে পরিচয় হয়। সুরুজের দেওয়া সূত্র ধরে তারা ৭ জন মণিরামপুরে বেকারি মালিকের বাড়িতে ডাকাতি করেন।

লিটন বলেছেন, ৫ দিন আগে গত শুক্রবার রাত ২টায় ডাকাতি করার পর বিল দিয়ে নেমে তারা বকুলের মাছের ঘেরের পাড়ে এসে বিশ্রাম নেন। সেখানে ওই বাড়ি থেকে আনা দুটো মোবাইল ফেলে যান তারা। লিটন আরো বলেন, আমরা ৩৯ হাজার টাকা ও দুটো স্বর্ণের চেইন, একজোড়া কানের দুল ও একটি আংটি নিয়েছি। পরে সর্দার কালুর সহায়তায় খুলনায় একটা দোকানে ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় অলঙ্কারগুলো বিক্রি করেছি। পুলিশ ও বেকারি মালিক মশিয়ার রহমান জানান, যশোরের একটি দোকান থেকে বেকারির জন্য কেনা মালামাল দীর্ঘদিন ভ্যানে করে মেঘনা বেকারিতে আনতেন রেল স্টেশন এলাকার সুরুজ নামে এক চালক।

সে সূত্রে বেকারির মালিকের সাথে তার ভাল জানাশোনা হয়। গত সপ্তাহে বেকারির মালামাল এনে মালিকের রান্না ঘরে তুলে দেয় সুরুজ। এরপর শুক্রবার বিকেলে ডাকাত মন্টু ও লিটনকে ভ্যানে করে এনে বেকারিতে ঢোকে। সেখান থেকে বেরিয়ে আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। এরপর রাতে এসে তারা ডাকাতির ঘটনা ঘটনায়। গত শুক্রবার দিনগত রাতে মণিরামপুরের কোদলাপাড়ায় মেঘনা বেকারি মালিকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এসময় ডাকাতরা বাড়ির লোকজনকে বেঁধে মারপিট করে ৪ লাখ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও দুটি মোবাইল লুট করে। এরপর ডিবি এ ঘটনার তদন্তে নামে। বেকারি মালিক মশিয়ারের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ঘটনার একদিন পরে সুরুজকে আটক করে ডিবি। এরপর তার দেওয়া সূত্র ধরে বাকি ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। ডিবির ওসি রুপন সরকার বলেন, মন্টু ও লিটন পেশাদার ডাকাত। তারা বৈদ্যুতিক বাল্ব বা লাইট হকারি করে বিক্রির মাধ্যমে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। এ দুজন সুরুজের ভ্যানে ঘোরাফেরা করার সময় তার মোবাইল নম্বর নেয়।

এরপর তারা একসাথে কয়েকটি স্থানে ডাকাতি করেছে। ডিবির ওসি বলেন, ১৭ বছর যশোরে থাকার কারণে এ অঞ্চলের সব রাস্তা সুরুজের চেনা। গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে সে লিটন ও মন্টুকে নিয়ে মেঘনা বেকারিতে আসে। সুরুজকে আটকের পর তার মোবাইলের কল লিস্ট থেকে এ তথ্য প্রমাণ হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২২ at ১৯:২৬:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস