ধর্ষন মামলা করে নিরাপত্তহীনতায় থাকা, এক হিন্দু পরিবার নিরুদ্দেশ

প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা করে নিরাপত্তহীনতায় থাকা একটি হিন্দু পরিবার রাতের আধারে নিরুদ্দেশ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বুধবার ভোর রাতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আলাইপুর গ্রামের দাস সম্প্রদায়ের ১২ সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটি ঘরবাড়ি ফেলে চলে যায় বলে গ্রামবাসি জানায়। তাদের কোথাও খোঁজ মিলছে না। তবে এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন কিছুই জানে না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা আলাইপুর গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে।

এ সময় গ্রামবাসি তাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কারাগারে থাকলেও তার সমর্থকরা হিন্দু পরিবারটিকে বিভিন্ন সময় হুমকী দিয়ে আসছিলো। বুধবার ভোর রাতে আলাইপুর গ্রামের অমরেশ দাস, তার ভাই মদন দাস ও বাদল দাস তাদের স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়। গ্রামে থেকে যাওয়া ওই পরিবারের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস জানান, ধর্ষিতা নারী তার কাকিমা।

আরো পড়ুন:
চার জেলার ৪৩৫ জন বিএনপি নেতাকর্মির, হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন
ডিআরইউ’র নেতৃত্বে নোমানী-সোহেল
৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

মামলার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ কারণে বুধবার ভোরো পরিবারের ১২ সদস্য নিয়ে তার পিতা ও দুই চাচা গ্রাম ছেড়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু জানান, তাদের গ্রামে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। তারা ভারতে যায়নি, ঝিনাইদহের আশেপাশে আত্মগোপন করে আছে। তিনি বলেন, মিজানুর নামে এক বাদমাইশ পরিবারটির উপর জুলুম করার কারণে ভয়ে তারা গ্রাম ছেড়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, এক সঙ্গে একটি পরিবারের গ্রাম ছাড়ার বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আলাইপুর গ্রামে দাস সম্প্রদায়ের বাড়িতে একটি ঘটনা আমার জানা আছে। তিনি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। বক্তব্য জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লার সরকারী নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নভেম্বর ৩০.২০২১ at ২০:০৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর