আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ‍যাদের সম্ভাবনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, দলটির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন? সেই আলোচনা ততই জোরালো হচ্ছে। নতুন মুখ নাকি ৭৩ বছরের রেকর্ড ভেঙে টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাবেন ওবায়দুল কাদের, এমন প্রশ্ন সবার মনে। সভাপতির পদ নিয়ে কারও প্রশ্ন নেই। দলের ঐক্য ও ভরসার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় নতুন কমিটি। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বিস্তৃত হচ্ছে আলোচনার ডালপালা।

আরো পড়ুন:
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বরাবরের মতোই সভাপতি পদে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই দেখতে চান সব স্তরের নেতার্কীরা। ৪২ বছরে শত ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলা করে দলটির অনিবার্য নেতৃত্বে পরিণত হয়েছেন সভাপতি শেখ হাসিনা। তার বিকল্প নেই বলেও মনে করেন সবাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, আ.লীগের শতভাগ নেতাকর্মী, যারা কাউন্সিলে ডেলিগেট হবেন, তারা সবাই চান শেখ হাসিনা পুনরায় আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। টানা চার মেয়াদে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর টানা তিন মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমদ।

এরপর আর কেউ টানা দুইবারের বেশি সাধারণ সম্পাদক হননি। ২০১৬ সাল থেকে টানা দুইবার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। টানা তৃতীয় মেয়াদে তিনিই থাকবেন, নাকি নতুন মুখ দেখা যাবে সেই আলোচনা এখন সংগঠনে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয়বারের মতো তাকেই সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে বলে গুঞ্জন দলের মধ্যে। তবে এ নিয়ে মুখ খুলছেন না কেউ। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সাধারণ সম্পাদক পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হওয়ার বিধান নেই। ফলে কেউ নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেননি।

তবে সাধারণ সম্পাদকের দৌড়ে অনেকেরই নাম শোনা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন— সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমানের মতো ডাকসাইটে নেতারা। আলোচনায় আছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমও। দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেক হাসিনাই এ টু জেড।

তিনি যে কমিটি নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, যে কমিটির কর্মকর্তাদের দিয়ে ওনার কাজ করতে সুবিধা হবে; দলকে একটি শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য যে পরিকল্পনা ওনার মাথায় আছে, তিনই করতে পারবেন। তিনিই বলতে পারবেন। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের প্রত্যাশার বাইরে যাবে না, সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

নভেম্বর ২৯, ২০২২ at ১৬:২৩:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস