দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চয়ন কন্ঠ (১৭) নামে এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। কিশোর চয়ন আত্মহত্যা করায় ছোট ভাই-বোনের স্বপ্ন ঝুলে রইলো ঘরের তীরে। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ৪নং ঘোড়াঘাট ইউপির করঞ্জী গ্রামের শয়ন ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শয়ন ঘরের তীরের সাথে মাফলার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। নিহত ওই কিশোর করঞ্জী গ্রামের সজল কন্ঠের পুত্র।
সে কামদিয়া নুরুল হক ডিগ্রি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। চার ভাই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে গাইবান্ধা জেলায়। ছোট ভাই দুটির বয়স ৬ ও ৯ বছর। পরিবার ও এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায়, ২ বছর আগে নিহত চয়নের মা মারা যান। সেই থেকে ছোট দুই ভাই ও বাবাকে নিয়ে একা হয়ে পড়ে সে। নিজে কলেজে যাওয়া, আবার কলেজ থেকে এসে ছোট দুটি ভাই ও বাবার জন্য খাবার রান্না করে খাওয়ানোর দায়িত্ব এসে পড়ে তার কাঁধে।
আরো পড়ুন :
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী
টিপু-প্রীতি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন ১১ জানুয়ারি
তার বাবা মাসিক ১৮০০ টাকা বেতনে স্থানীয় একটি কলেজের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করেন। অভাব অনটনে দিন কাটতো তাদের। নিহতের বড় চাচা রতন কন্ঠ বলেন, ‘মানষিক বিকার গ্রস্ত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। অন্য কোন কারণ নেই। তার মা মারা যাওয়ার পর এই অল্প বয়সে পুরো সংসারের দায়িত্ব তার কাঁধে পড়ে যায়। অসহায় এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সকলের কাছে প্রার্থনা করছি।
ঘটনাটি আত্মহত্যা নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু হাসান কবির বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই। তার বাবা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছে। সকলেই বলছে সে আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল রিপোর্টেও হত্যার কোন আলামত মেলেনি। তাই সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে মরদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নভেম্বর ২৯.২০২১ at ১৫:২২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর