মহেশপুর বেসরকারী ক্লিনিক মালিকের ভুল অপারেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে কলম বিশ্বাস। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার পদ্মপুকুর বাজারে অবস্থিত বেসরকারী ক্লিনিক মহিউদ্দিন প্রায়ভেট হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও গুড়দাহ গ্রামে অবস্থিত কর্ণফুলী প্রাইভেট হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এই বেসরকারী ক্লিনিক দুইটির মালিক আব্দুর রহিম ডাবলু।কোন জনবল ছাড়াই আব্দুর রহিম ডাবলু ও তার স্ত্রী মিলে ক্লিনিক দুইটা পরিচালিত হয়।
গত ১০ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে পার্শ্ববর্তী জীবননগর উপজেলার গয়েশপু গ্রামের কলম বিশ্বাস পেটে টিউমার নিয়ে মহেশপুর উপজেলার কুশাডাঙ্গা গ্রামের বিয়াই আব্দুল ওহাব মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে আসে। কলম বিশ্বাসের পেটের ব্যাথার কথা ডাবলুর নিযুক্ত দালালের মাধ্যমে ডাবলু জানতে পারে।পরে ডাবলু কলম বিশ্বাস কে অ্যাপেন্ডিক্স হয়েছে বলে জানাই এবং দ্রুত অপারেশন করা লাগবে বলে ফুসলিয়ে তাকে বেসরকারী ক্লিনিক মহিউদ্দিন ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ নিয়ে সনদ বিহিন এলাকায় বহুল প্রচারিত সার্জিক্যাল ডাক্তার ও দুইটা বেসরকারী ক্লিনিক মালিক আব্দুর রহিম ডাবলু ও তার স্ত্রী কলম বিশ্বাসের অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশন করে এবং সেই সাথে পায়খানার নাড়ি কেটে ফেলে।
আরো পড়ুন:
সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে – এমপি প্রিন্স
বেনাপোলে মাদক সহ তিন কারবারি আটক
কৃষকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনা – হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
বিষয়টি তারা অপারেশন করা অবস্থায় বুঝতে পারে। রুগির আপনজনদের বুঝতে না দিয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা করার কথা বলে ১০/১২ দিন নিজ ক্লিনিক রেখে সিলাই কেটে রুগিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে যাওয়ার পর ক্ষত স্থান থেকে গন্ধ ও কষানি বের হতে থাকলে কলম বিশ্বাসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর মেডিক্যাল বোর্ড ভুল অপারেশনের মাধ্যমে রুগির মৃত্যু ঝুকির কথা জানাই। অসহায় কলম বিশ্বাসের পরিবারের লোকজন ডাবলুকে জানায়।
সে এলাকার কতিপয় লোকজন কে ম্যানেজ করে স্টাম্পের মাধ্যমে সমাধান করে। এ বিষয়ে আব্দুর রহিম ডাবলু বলে আমি সব ম্যানেজ করে স্টাম্প করেছি রুগি মারা গেলেও আমার কিছুই হবেনা। ক্লিনিক চালাতে জনবল কাগজ পাতি কিছুই লাগে না উপর মহল ম্যানেজ তো সব ঠিক।এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেদায়েত বিন মাহমুদ সেতুর ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এলাকার সধারণ মানুষের মুখে মুখে একই কথা ডাবলু ডাক্তার নাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়না কেন? উল্লেখ্য ২৫ মে ২০২২ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা মহাখালী থেকে পরিস্কার ভাবে এই সমস্ত অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে প্রশাসন ও সকল সিভিল সার্জন ও সকল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গন কে অবগত করেন।
নভেম্বর ২৯.২০২১ at ১৪:২৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর