চৌগাছায় সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম নাগালের বাইরে

চৌগাছায় শুক্রবার উপজেলার সাপ্তাহিক হাটবারে সকালে চৌগাছা বড় কাঁচা বাজার সবজির আড়তে দেখা যায়, পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রচুর শীতের সবজি উঠেছে। মুলা, মেটেআলু, বেগুন, ফুলকপি, বরবটি, শিম, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, টমেটো,বাঁধাকপিসহ আরো অনেক শীতের সবজি আড়ৎ ও দোকানগুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে দামে এখনো আসেনি সাধারণ ত্রেতাদের নাগালে। চৌগাছা বাজারে সবজি কিনতে আসা আশাদুল ইসলাম বলেন, অন্য বছরের এই সময়ে বাজারে শীতের সবজির দাম অনেক কম থাকে।

আরো পড়ুন:
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি কমেছে

মৌসুমী সবজির কোনোটিই ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে নেই। এক কেজি টমেটা ১০০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজের কালি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, মেটে আলু ৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। সবজি কিনতে গেলে অন্য কোনো বাজার করা সম্ভব হবে না। স্কুলশিক্ষক মিলন হোসেন বলেন, নিত্যপণ্যের সাথে প্রায় সারাবছরই সবজির দাম থাকে চড়া। শীতের সবজি বাজারে উঠলেও তা এখনো দাম কমেনি। তিনি বলেন, সবজির যে দাম তাতে অন্য বাজারে কুলিয়ে উঠা সম্ভব হবে না। পাইকারি বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম হলেও বড়-বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করেই এভাবে সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখি রেখেছে।

খুচরা ব্যবসায়ী আলমগীর হোসের বলেন, অন্য বছরে এই সময়টা বাজারে শীতের সবজিতে ভরে যায়। এ বছর তুলনামূলক সরবরাহ কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজির উৎপাদন কম হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক পর্যায়ে আসবে। সবজি চাষের মূল সময়ে এ বছর বৃষ্টির পানি হয়নি। এ কারণে সবজির উৎপাদন কম। তাই কয়েক মাস আগে থেকেই সবজির দাম চড়া। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আর ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শীতের সবজি বাজারে উঠবে। তখন সবজির দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

চৌগাছা কাঁচা বাজারের আড়ৎ মালিক আজিজুর রহমান দুদু বলেন, এ বছর সবজি উৎপাদন কম হয়েছে। যে কারণে মোকামে সরবরাহ কম। ফলে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে সবজি। এজন্য আড়তদাররাও বাধ্য হয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছি। তিনি বলেন, সবজির দাম হয়তো এবছর তেমন একটা কম হবে না। এর বড় কারণ হলো সবজি উৎপাদনের খরচের সাথে পরিবহন, শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবজির বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

নভেম্বর ২৫, ২০২২ at ২০:১২:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস