ছাত্রলীগ নেতাকে সাইকেল চুরির অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল থেকে বহিষ্কার করে হল থেকে বেডপত্র বের করে দেন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। সাইকেল চুরির সময় তার সাথে আরিফুল ইসলাম সুমন নামের আরেক সহযোগী শিক্ষার্থী ছিলেন।

আরো পড়ুন:
দ্বিতীয়তেও অদ্বিতীয় ম্যারাডোনা

তিনি ফোকলোর বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। হল প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বঙ্গবন্ধু হল থেকে একটি সাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হলের মেইন গেইটে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে। এতে দেখা যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলের ছাদ থেকে নিচে ফেলে সাইকেল বের করে নিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা আজ (২৪ নভেম্বর) বিকেলে সন্দেহভাজনকে আটক করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও হল কর্তৃপক্ষ তাকে হল থেকে বহিষ্কার করে দেয়। হলের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, মারুফ মাদকাসক্ত। এর আগেও তার বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ উঠেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বিষয়টিকে অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মারুফ বলেন, আমি কারো সাইকেল চুরি করিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই ভাইয়ের সাইকেল আমাকে দিয়ে গেছেন। সে সাইকেলগুলো আমি নিয়েছি। কিন্তু কোন বড়ভাই, জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আর কোনো উত্তর দিতে পারেননি। ছাদ থেকে কেন সাইকেল ফেলা হয়েছে এ বিষয়েও কোনো উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা। অভিযুক্ত মারুফের সাথে চাইকেল চুরিতে সহযোগিতা করেন সুমন নামে আরেক শিক্ষার্থী। তিনি জানান, সে মারুফের নির্দেশে হলের চার তলার ছাদ থেকে গতকাল একটি সাইকেল ফেলেছেন। পরে মারুফ ওই সাইকেল নিয়ে বিক্রি করে দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হল প্রভোস্ট। তাকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ইতোমধ্যে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।

আমরা যদি যথাযথ প্রমাণ পাই, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করব। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ বলেন, আমরা ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার করেছি। এমন কর্মকাণ্ডের যেন হলে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য সতর্ক থাকব।

নভেম্বর ২৫, ২০২২ at ১৭:০৯:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস