পাবনায় শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আলোচনা সভা

শেখ রাসেল মানে ইতিহাস, শেখ রাসেল মানে বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক খুনি চক্র বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল সহ পরিবারের সকল সদস্যকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। খুনিরা এই দেশকে পিছেয়ে দেবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এদেশের মানুষ খুনিদের ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সকল খুনিদের বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি। সকল ষড়যন্ত্রকারী ও খুনিদের বিচার হতে হবে।

শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে আমরা একজন ভালে নেতা পেতাম। তবে সেটি হতে দেয়নি স্বাধীনতা বিরোধীরা। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য বলতে হবে। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে শেখ রাসেল দিবসের আলোচনা সভায় একথা বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। তিনি আরো বলেন, শিশুদের মেধা বিকাশের জন্য এই ধরনের আয়োজন আরো বেশিবেশি করে হওয়া দরকার। নতুন প্রজন্মের মাঝে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তবেই আমরা আধুনিক ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।

আরো পড়ুন:
দৌলতপুরে এন জামান গ্রুপের আইনবহির্ভূত বাড়তি জমি যাচ্ছে সরকারের দখলে

২৩ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা সদর – ৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কামরুজ্জামান রকি। অনুষ্ঠান পরিচালনা করনে সংগঠনের সদস্য আল-আনিন ও রিজভী শাওন। অনুষ্ঠানে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগ সহ সহযোগি অন্যান্য সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশ করেন স্থানীয় সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠনের সদস্যরা। পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ ও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদাণ করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকল প্রতিযোগিকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া কবিতা, চিত্রাঙ্কন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হয় বিশেষ পুরস্কার। অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বের আগে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলর উপর ভিডিও প্রজেক্সশনের মাধ্যমে আলোকচিত্র প্রর্দশন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে গড়া এই সংগঠনের জেলা শাখার বিভিন্ন কর্মসূচির স্থিরিচিত্র ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে স্থানীয় জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

ডিসেম্বর ২৪.২০২১ at ১৯:১৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/এসআর